সোমবার , ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আরিফ সোহেলের সন্ধান চেয়ে তার ছোটবোন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে খায়ের ঈদি বলেন, সাদা পোশাকে থাকা কিছু মানুষ গভীর রাতে জোরপূর্বক বাসায় ঢুকে আমার ভাইয়াকে তুলে নিয়ে গেছে। সারা দিন যাকেই জিজ্ঞাসা করি, আমার ভাই কোথায়, তারা কেউ জানে না বলে জানায়।
রোববার (২৮ জুলাই) আরিফ সোহেলসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মুক্তির দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে উম্মে খায়ের ঈদি বলেন, সাদা পোশাকে থাকা কিছু মানুষ গভীর রাতে জোরপূর্বক বাসায় ঢুকে আমার ভাইকে তুলে নিয়ে গেছে। এখনো তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আশুলিয়া থানায় নিয়ে যাবে বলেছিল, কিন্তু সেখানে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েকটি থানায় যোগাযোগ করেছি, কেউ কিছু বলতে পারছে না। আমার পরিবার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অবিলম্বে আমার ভাইয়ের মুক্তি চাই।
দর্শন বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী সজিব আহম্মেদ জেনিচের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অমর্ত্য রায়, স্মরণ এহসান প্রমুখ।
এদিকে আরিফ সোহেলের মুক্তি চেয়ে বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্যরা।
এ সময় সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমাদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে। যাকে যেখানে পাচ্ছে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তারা হাজির হচ্ছে। আমরা আমাদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে আরিফ সোহেলসহ সব সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে সরকারকে আহ্বান জানাই। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে এনে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া হোক।