শনিবার , ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোস্তফা কামাল মজুমদারঃ
ঢাকার আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমন মিয়া (৩২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, শনিবার আশুলিয়া থেকে নারী-শিশুসহ ১১ জনকে দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল।
এদিন দুপুরে সুমন মিয়া নামে আরও একজন আইসিইউতে মারা গেছেন। তার শরীরে ৯৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে ভোরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শিউলি আক্তার (৩২) নামে এক নারী মারা যান। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
জানা গেছে, সুমন রহমান ও শিউলি সম্পর্কে ভাইবোন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দুজনে দাঁড়িয়েছে। অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় শিউলির স্বামী, দুই সন্তানসহ ৯ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর গোমাইল গ্রামের আমজাদ ব্যাপারীর ভাড়া বাসার দ্বিতীয় তলায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের উদ্ধার করে ওই রাতেই জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
সুমনের ফুপাতো ভাই মো. মাসুদ বলেন, সুমনদের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। গোমাইল এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। একই এলাকায় থাকেন তার ভাই সোহেলও। সুমন গ্রাফিকসে কাজ করেন আর সোহেল গার্মেন্টস এক্সেসরিজের কোম্পানিতে কাজ করেন। তাদের বোন শিউলি থাকতেন নবাবগঞ্জ দিঘিরপাড় এলাকায়। ফুফু জোহরা বেগম মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা।
শবে বরাত উপলক্ষে শুক্রবার সবাই সুমনদের বাসায় যান। রাতে পিঠা বানানোর জন্য চুলা জ্বালাতেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সুমনের ৯৯ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
গত রাতে ৯৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় মারা যান সুমনের বোন শিউলি আক্তার (৩২)।
এছাড়া চিকিৎসাধীন ৯ জনের মধ্যে সূর্য্য বেগমের (৫০) ৭ শতাংশ, সোহেলের (৩৮) ১০ শতাংশ, শারমিন আক্তারের (৩৫) ৪২ শতাংশ, সোয়াইদের (৪) ২৭ শতাংশ, সুরাইয়ার (৩ মাস) ৯ শতাংশ, মনির হোসেনের (৪০) ২০ শতাংশ, ছামির মাহমুদ ছাকিনের (১৫) ১৪ শতাংশ, মাহাদীর (৭) ১০ শতাংশ ও জহুরা বেগমের (৭০) ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।