বৃহস্পতিবার , ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদটুডে ডেক্সঃ
চলতি মাসের শুরুর দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। পরে তা ক্রমান্বয়ে সহিংস রূপ নেয়। নাশকতাকারীরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে আগুন দিলে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত ৮টার পর সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়।
টানা ৫ দিন পর গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত ৯টার পর রাজধানী ঢাকার কিছু কিছু স্থানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়। ইন্টারনেট বন্ধের এই সময়ে যা যা ঘটেছে, তা তুলে ধরা হলো।
১৯ জুলাই, শুক্রবারঃ-কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর সুযোগে রাজধানী ঢাকায় দুষ্কৃতকারীদের হামলা, ভাঙচুর, গুলি, অগ্নিসংযোগ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। দেশের বিভিন্ন জেলাতেও ব্যাপক বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও সহিংসতা হয়।
২০ জুলাই, শনিবারঃ-দেশজুড়ে কারফিউ, সেনা মোতায়েন। সাধারণ ছুটি ঘোষণা। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। যেমন যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, বাড্ডা ও মিরপুর। এছাড়া মোহাম্মদপুরেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২১ জুলাই, রোববারঃ-কোটা পুনর্বহাল-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় সামগ্রিকভাবে বাতিল করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়। রায়ে বলা হয়, কোটাপ্রথা হিসেবে মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ; মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
২২ জুলাই, সোমবারঃ-কোটাপ্রথা সংস্কার করে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তৈরি করা প্রজ্ঞাপন অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিনও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অনেকেই হতাহত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন তিন বাহিনীর প্রধান।
২৩ জুলাই, মঙ্গলবারঃ-কোটাপ্রথা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অস্থিতিশীলতা, শাটডাউন ও কারফিউয়ের কারণে শিল্প-কারখানা অচল হয়ে যায়। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ে।