বুধবার , ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোঃ এনামুল হক বিপ্লব, কুড়িগ্রামঃ
রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরার হাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঈমামকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন দুই সহদর। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছে তাদের স্বজনরা।
শনিবার রাত ৭:০০টায় ইশার নামাজ আদায় করে মসজিদের ভিতর অবস্থান কর ছিলেন পাড়ামৌলা গ্রামের মাংস ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম ও তার বড় ভাই শহিদ মিয়া।
একই গ্রামের আবুল হাশেমের পুত্র খোকন (২৮) ও তার চাচা মাহবুব (৪০) পূর্ব ঘটনার জের ধরে মসজিদে প্রবেশ করে দুই সহদরের সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন।
এরই এক পর্যায়ে খোকন ও তার চাচা মাহবুব অতর্কিত ভাবে মসজিদের ভিতরেই শরিফুল ইসলাম ও শহিদ মিয়ার উপর হামলা করেন।
আশপাশের মুসল্লিরা এগিয়ে এসেও তাদের হামলা থেকে রক্ষা করতে পারেননি। তাদের হামলায় গুরুতর আহত দুই ভাইকে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে একজন কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরেক ভাই শহিদ মিয়ার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এঘটনায় এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।মসজিদের ভিতরে এহেন ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান,হামলাকারী খোকন একজন উগ্রবাদী ও বদমেজাজী টাইপের ছেলে।
এলাকার কাউকেই সম্মান দিতে জানেনা। কয়েক মাস পূর্বে তার বাবা ডাংরার হাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ওয়াক্তিয়া ইমাম ছিলেন,কিন্তু একজন ইমাম হিসাবে সবার নিকট গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় তাকে মসজিদের ইমাম থেকে বাদ দেওয়া হয়।
আর তাকে বাদ দেওয়ার পিছনে বেশী ভূমিকা পালন করেন শহিদ মিয়া ও শরিফুল ইসলাম।
তখন থেকে বাবার অপমানের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে থাকেন উগ্রবাদী বদ মেজাজী খোকন।
তিনি আরও জানান এই উগ্রবাদী বদমেজাজী ছেলের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর আইনী ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সংশয় প্রকাশ করেন।
পরে শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে রায়হানুল ইসলাম খোকন ও মাহাবুবুর রহমান কে প্রধান আসামি করে রাজারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।