রবিবার , ২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হৃদয় রায়হান, কুষ্টিয়াঃ
বাংলার সৌন্দর্য্যের রাজা বলে পরিচিত গ্রীষ্মকাল। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই মধুময় কুহুতানে মাতাল করতে আবারো ফিরে এলো বাংলার বুক মাতাল করতে ঋতুরাজ বসন্ত। সোনালি হলুদ রঙের আমের মুকুলের মনকাড়া মৌ মৌ ঘ্রাণ।
মৌমাছির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে গুনগুন শব্দে। ছোট পাখিরাও মুকুলে বসেছে মনের আনন্দে। এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে জেলার সর্বত্রই। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ ঘ্রাণ। যে ঘ্রাণ মানুষের মনকে বিমোহিত করে।
পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল।
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার দবির মোল্লার রেলগেটে এলাকায় (২৮ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, আম গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল।
এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা।
চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা।
এদিকে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগান’সহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। আম রুপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, ক্ষিরসাপা অন্যতম।
ইতিমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরও কয়েকদিন লাগবে বলে জানান বাগান মালিকরা। আম বাগানের মালিক আকরাম হোসেন মোল্লা জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে তাদের বাগানে লাগানো আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে।
কিছু গাছে গাছে মুকুল বের হচ্ছে। তিনি আরো জানান, মুকুল আসার পর থেকেই আমি গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছি। মু
কুল রোগ বালাইয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছি। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে।
এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করছি।
ডা. শামছুল আলম জানান, গেলো দুই সপ্তাহ থেকে গাছে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। মূলত আবহাওয়াগত কারনে দেশীয় জাতের গাছে এই আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, এ সময় বাগানে বসবাস করা হপার বা ফুদকী পোকা যারা মুকুলের ক্ষতি করে। এ পোকা দমনে বালইনাশক স্প্রে করতে হবে।
মনোহরগঞ্জে শহীদ আনোয়ার স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ইফতার পেলেন ২’শ পরিবার