শনিবার , ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মামুন নজরুল, মীরসরাইঃ
ফিলিস্তিনে ইসরায়েল কর্তৃক ইতিহাসের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে আবুতোরাব বাজারে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও সাধারন ছাত্র জনতা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজ মাঠে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য বিবৃতির মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘বদরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘উহুদের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ফ্রি ফ্রি গাজা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক হেড মাওলানা রবিউল হোসেন নিজামী, ব্যবসায়ী ডা.গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মো আশরাফ উদ্দিন, মঘাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম হেলাল উদ্দিন, হিতকরী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম রয়েল, মায়ানী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মুসলিম উদ্দিন সহ স্কুল, কলেজের সহস্রাধীক ছাত্রছাত্রী বৃন্দ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এম হেলাল উদ্দিন বলেন, যে ভাবে ফিলিস্তিনের গাজায় নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে তা সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন।
বিশ্বের সর্বোচ্চ অভিভাবক জাতিসংঘ, মুসলিম উম্মাহর অভিভাবক ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার প্রতি আমাদের উদাত্ত আহবান, আপনারা বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলুন এবং ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়ান। যতদিন এই পৃথিবী থাকবে ফিলিস্তিন থাকবে, মুসলিম থাকবে, গাজা থাকবে, রাফা থাকবে, আমরা সবাই আপনাদের পাশে আছি। ভাই-বোনদের যেভাবে বোমা মেরে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে এটি আর মেনে নেওয়া যায় না।
প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের ইসলামী ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ জাফর উদ্দিন বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান অমানবিক নির্বিচারে হত্যা, বোমাবর্ষণ, অমানবিক হামলা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইসরায়েলের সকল পণ্য বর্জনের ঘোষণা দেন।
গত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী ফিলিস্তিনিদের উপর যে বর্বর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলী সন্ত্রাসীরা তা মানব সভ্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এখনই সময় মুসলিম বিশ্বকে একযোগে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর।
সারাবিশ্ব আজ দেখেছে ইসরাইলরা একটি অভিশপ্ত জাতি।
ছাত্র জনতার এই গণমিছিলের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিতকরী’র প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ইসলাম রয়েল বাংলাদেশীদের সতর্ক করে বলেন,সময় এখন বিভেদের নয়,সময় এখন ঐক্যের। আমাদের এই স্বাধীনতার সুখ সাময়িক।বাংলাদেশীদের জন্য কঠিন অবস্থা অপেক্ষা করছে।
ফিলিস্তিনিরা ধরতে গেলে মুসলিম দেশগুলোর কোলে।প্রতিবেশি ভাইয়েরা তাদের পক্ষে একটা পোস্ট হলেও দিচ্ছে।সীমানার ওদিক থেকে একটা ত্রানের প্যাকেট হলেও ছুড়ে মারছে।
আর আমরা আছি মুশরিকদের কোলে।এখানে খাবারের প্যাকেট ছুড়ে মারার মত ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশি নাই।আমাদের সামনে আছে শুধু বঙ্গোপসাগর।
এখানেই ইসলামের দুশমনেরা এক ভয়ানক ‘হিন্দের যুদ্ধ’ শুরু করে মুসলমানদের নিঃচিহ্নের খেলায় মেতে উঠবেন বলে নবীজি সাঃ ভবিষ্যতবানি করেছেন।
সুতরাং ফিলিস্তিনের পাশাপাশি আমাদের ভারতের প্রতিও ফোকাস রাখতে হবে। কারন ইসরায়েল ও ভারত উভয়েরই এজেন্ডা এক।