গৌরীপুরে ৭ম শ্রেনীতে
পড়ুয়া ছাত্রীর মৃত্যু !
মোঃ হুমায়ুন কবির, গৌরীপুরঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া পাপড়ি (১৩) নামের ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পাপড়ির আত্মীয় প্রত্যক্ষদর্শী সুমি জানিয়েছেন তার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পাই। তখন আমি জানালা দিয়ে পাপড়ি কে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছে দেখি। তখন আমি চিৎকার করলে অন্যরা ছুটে এসে শাবল দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে।
পরিবারের দাবি ১লা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ঘুরতে বেরুতে নিষেধ করায় অভিমানে আত্মহত্যা চেষ্টা করে।
তাকে হাসপাতালে কতব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। তবে পুলিশের দাবি পাপড়ির মৃত্যু রহস্যজনক। তার গায়ের জামাটি রক্তমাখা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কাটা দাগ পাওয়া গেছে।
নিহত পাপড়ি গৌরীপুর পৌর শহরের কালীপুর মধ্যমতরফ এলাকার বাসিন্দা মোঃ আব্দুর রহিমের মেয়ে ও গৌরীপুর নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর পরিবারের লোকজন তাকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রেলওয়েতে কর্মরত পাপড়ির বাবা আব্দুর রহিম জানান, গতকাল থেকেই পাপড়ি জেদ করছিলো ১৪ শুক্রবার তারিখ বাইরে ঘুরতে বের হবে। তার মা নিষেধ করায় রাগারাগি করে সে।
১৪ ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার) সকালে তিনি কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরেছেন। পাপড়ি মোবাইলে ব্যালেন্স চাইলে তিনি তা পাঠান। জুম্মার নামাজ থেকে ফিরে এসে শুনেন মেয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা. লামিয়া ইসলাম জ্যোতি বলেন- পাপড়ির শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত পাওয়া গেছে ও তার গায়ের জামাটি রক্তে ভেজা রয়েছে।
আত্মহত্যার বিষয়টি পরিষ্কার নয়, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গৌরীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম জানান-মেয়েটির জামা ও বিছানার চাদর রক্তাক্ত হয়ে আছে। দরজা জোর করে খোলা বা ভাঙার কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি, মৃত্যুটি রহস্যজনক, ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত চলমান রয়েছে।
গৌরীপুর থানার সুত্রে জানা গেছে পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে রাতে বোকাইনগর ইউনিয়নের কাছিমপুর গ্রামে দাফন করা হয়।