বুধবার , ১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
লাকসাম প্রতিনিধিঃ
লাকসামে রেলওয়ে পুলিশের এক সদস্যের বিরুদ্ধে ট্রেনে এক চকলেট বিক্রেতা এক হকারের সাথে পরক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্ত্রীর সাথে পরক্রিয়ার প্রতিবাদ করায় ওই পুলিশ সদস্য মোবাইল ফোনে চকলেট বিক্রেতা হকারের স্বামীকে গালমন্দ ও হত্যার হুমকি প্রদান করেন।
আজ সোমবার দুপুরে এ ঘটনায় ওই চকলেট বিক্রেতা হকারের স্বামী বাদী হয়ে রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার চট্রগ্রাম বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্য এ এস আই নুরুল আমিন আরএসবি(নিরস্ত্র) হিসাবে লাকসাম রেলওয় জংশন থানায় কর্মরত আছেন।
অভিযোগকারী চকলেট বিক্রেতা রেলওয়ে ট্রেনের হকার মনি আক্তারের স্বামী জুয়েল লাকসাম পৌরসভার শ্রীপুর গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, লাকসাম পৌরসভার শ্রীপুর গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে হতদরিদ্র অটোরিক্স চালক জুয়েলের স্ত্রী মনি আক্তার জীবিকার তাগিদে রেলওয়ে ট্রেনে চকলেট বিক্রি করেন। লাকসাম রেলওয়ে জংশন থানার আরএসবি সদস্য (নিরস্ত্র) এএসআই নুরুল আমিন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরক্রিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে।
জুয়েল জানায়, পুলিশের ওই সদস্য আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে রিচার্জ, নাস্তা খাওয়ানো ও সংসারের জন্য খরচাপাতি ক্রয় করে পাঠায়। এ নিয়ে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়াও ওই পুলিশ সদস্য আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে জংশন বাজারে ডেকে এনে নাস্তা খাওয়ানোর পর সংসারের জন্য খরচাপতি ক্রয় করে দেয়ার সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং তা প্রতিবাদ করি। বাসায় গিয়ে আমার স্ত্রীকে আমি তালেকের হুমকি দিলে তা সামাজিক সালিশে সে আর ওই পুলিশ সদস্যে সাথে কোন যোগাযোগ না রাখার শর্তে উভয়ে পুনরায় সংসার করা সিন্ধান্তে একমত পোষন করি।
লাকসাম রেলওয়ে জংশন থানার আরএসবি সদস্য (নিরস্ত্র) এএসআই নুরুল আমিন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার স্ত্রীর সাথে পরক্রিয়ায় আসক্তি, তার মোবাইলে রির্সাজ, বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে উত্যেক্ত করা বিষয় জানতে চাইলে সে আমাকে অকথ্য ভাষা গালমন্দ ও প্রাণে মেরে ফেলা হুমকি প্রদান করেন। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ঘটনার প্রতিকার ও তদন্ত সাপেক্ষ্যে পুলিশ সদস্য নুরুল আমিনের বিচার এবং আমার নিরাপত্তা ছেয়ে রেলওয়ে জেলা চট্রগ্রাম পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ে করেছি।
লাকসাম রেলওয়ে জংশন থানা পুলিশেওসি জসিম উদ্দিন খন্দকার অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, রেলওয়ে ট্রেনে চকলেট বিক্রেতা মনি আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে পরক্রিয়া জড়িয়ে পড়া এবং তার স্বামীকে গালমন্দ করে হত্যার হুমকির বিষয়ের আবেদন পেয়ে রেলওয়ে জেলা চট্রগ্রাম পুলিশ সুপার বরাবর পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষ্যে পুলিশি বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।র