চট্টগ্রাম নগরীরে ভর্তুকি মূল্যের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর পণ্য নিতে ভোর থেকে বৃষ্টিতে ভিজে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে মানুষকে।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বেলা পৌন ১২ টায় নগরীর আন্দরকিল্লা ‘নগর ভবর’ এর সামনে দেখা গেছে শতাধিক মানুষ টিসিবির পণ্য নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও টিসিবির ট্রাক আসার খবর নেই। একই চিত্র দেখা গেছে নগরীর জামালখান ‘ সিনিয়রর্স ক্লাব’ এর সামনেও।

ক্রেতারা জানিয়েছেন, করোনার লকডাউনের সময়ও দিন দিন তেল, চিনি, মসুর ডালের দাম বেড়েই চলেছে। লকডাউনে মানুষের আয় কমেছে। তাই সাশ্রয়ী মূল্যে তেল, চিনি, মসুর ডাল কিনতে তারা সকাল থেকে, কেউ কেউ ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। বৃষ্টিতে ভিজে তারা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও টিসিবির ট্রাক আসার নাম-নিশানা নেই বলে জানান রহিমা বেগম।

তিনি বলেন, লকডাউনে খুব অর্থ কষ্টে আছি। কেউ সাহায্য সহযোগিতা করার কেউ নেই। ইব্রাহিম খলিল নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, অনেক দিন বন্ধ ছিল টিসিবির মালামাল বিক্রি। সকাল থেকে লাইন না ধরলে পণ্য পাওয়া যায় না। সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, আবার কেউ কেউ ইটের টুকরো, বাজারের থলে দিয়ে জায়গা ধরে রাখছেন অনেকে। সারা দেশের মতো গত সোমবার (২৭ জুলাই) থেকে নগরীর ৮টি এলাকায় ট্রাকে করে তেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি শুরু করে টিসিবি। যা চলবে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে প্রতিটি ট্রাকে ৬শ’ থেকে ৮শ’ কেজি চিনি, ৩শ’ থেকে ৬শ’ কেজি মসুর ডাল ও ৮শ’ থেকে ১ হাজার ২শ’ লিটার সয়াবিন তেল বরাদ্দ রাখা হয়েছে। টিসিবির যেকোন ট্রাক সেল থেকে একজন ব্যক্তি ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ২ থেকে ৪ কেজি চিনি, ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ২ কেজি ডাল এবং প্রতি লিটার ১০০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ২ থেকে ৫ লিটার ভোজ্যতেল কিনতে পারবেন। এ ব্যাপারে টিসিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, ঈদুল আজহার বন্ধের পর গত সোমবার থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৮টি এলাকায় ৮টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। লকডাউনের কারণে আমাদের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। ট্রাক দেরিতে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, সকালে মালামালগুলো ট্রাকে বুঝিয়ে দিতে একটু সময় লাগে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছতে।