চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলেদের
চাল আত্মসাৎ দায়ে দুদকের প্রতিবেদন
মানিক দাস, চাঁদপুরঃ
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকা জেলেদের জন্য বরাদ্দ করা ৬ দশমিক ৭২ মেট্টিক টন চাল আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এ ঘটনায় চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে দুদকের চাঁদপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাঁদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কোরবান আলী।
তিনি জানান, চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে প্রথমে থানায় অভিযোগ হয়। ওই অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হলে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
দুদকের চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের এই সহকারী পরিচালক জানান, বিষয়টি দুদক সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণে দুদক চাঁদপুর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। পরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২২ আগস্টে মামলা হয়।
তিনি জানান, মামলার তদন্তে দেখা যায়, ওই ইউনিয়নের গুদামে সংরক্ষিত জেলেদের চাল প্রথমে ৪ দশমিক ১ মেট্টিক টন কম পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে সকল কাগজপত্র দেখে চূড়ান্তভাবে ৬ দশমিক ৭২ মেট্টিক টন চাল কম পাওয়া যায়।
এতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করি।
এর আগে ২০২২ সালের ১৭ মে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী জেলা খাদ্য গুদাম থেকে জেলেদের চাল উত্তোলন করেন। পরদিন ১৮ মে ওই চাল বিতরণের জন্য গেলে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও ট্যাগ অফিসার সুমন কুমার দাস গোডাউনে থাকা চাল প্রাথমিকভাবে ওজন করে ৪ দশমিক ১ মেট্টিক টন কম পান।
জেলেদের জন্য বরাদ্দ করা চালের পরিমাণ ছিল ৫৩ দশমিক ৬৮ মেট্টিক টন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। এরপর ইউএনও ওই চালের গোডাউন সিলগালা করার নির্দেশ দিলে গোডাউনটি সিলগালা করা হয়।
এ বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘটনার বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হলে পুলিশ সেটি আদালতে তোলে। এরপর আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে প্রেরণ করেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পর আদালতের নির্দেশক্রমে সিলগালা অবস্থায় থাকা গোডাউন খুলে ওই চাল জেলেদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
https://www.songbadtoday.com/?p=89588
Post Views: ৬৭