চাঁদপুর সদরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে অভয়াশ্রমকালীন সময়ে জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদের ৪.১ মে. টন খাদ্য সহায়তার চাল আত্মসাতের মামলায় কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন রনিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার (২৪ জুলাই) দুপুরে মামলার ধার্য তারিখে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটি শুনানি শেষে আসামীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমান।

মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, গত ১৮ মে সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টায় কল্যানপুর ইউনিয়নের নিবন্ধিত ৬৭১জন জেলের চাল বিতরণ করার সময় পরিষদের দুটি গোডাউনে বরাদ্দকৃত চালের ৫৩.৬৮ মে. টন চালের স্থলে ৪৯.৬০ মে. টন চাল পাওয়া যায়। ৪.১ মে. টন চাল কম থাকায় তাৎক্ষনিক বিতরণ কাজে নিয়োজিত ট্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানিজদা শাহনাজ কে চাউল কম থাকার বিষয়ে অবগত করে জেলেদের মাঝে চাউল বিতরন বন্ধ করে দেন।

ওইদিনই চাঁদপুর মডেল থানায় তিনি বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন রনিকে আসামী করে মামলা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে চালের দুটি গোডাউন সীলগালা করে দেয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানাগেছে, মামলার আসামী চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন রনি  এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগামী জামিন পান। ওই সময় উচ্চ আদালত জামিন দেয়ার পাশাপাশি মামলাটি নিম্ন আদালতে শুনানির জন্য নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের আগাম জামিন শেষ হয় চলতি মাসের ১২ তারিখে।

চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিৎ রায় চৌধুরী  বলেন, মামলার নিয়মিত তারিখে আসামী মো. সাখাওয়াত হোসেন রনি স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হন। মামলাটি শুনানি হয়। জেলেদের খাদ্য সহায়তার ৮২ বস্তা (৪.১ মে. টন) চাল আত্মসাৎ করার কারণে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে, গত ১৮ মে জেলেদের ৪৯.৬০ মে. টন চাল দুটি গোডাউনে সীলগালা অবস্থায় থাকায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। যার কারণে চলতি মাসের ১৪ তারিখে জেলেদের মানবিক দিক বিবেচনা করে আদালতের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী ও মামলার বাদী সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এবং ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে বিতরণ করা হয়।