চাঁদপুরে লঞ্চের কেবিন মিলল
প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ !
মানিক দাস, চাঁদপুরঃ
চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের একটি কেবিন থেকে আনোয়ার হোসেন (২৫) ও রোজিনা আক্তার (২০) নামে প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে সদরঘাট নৌ পুলিশ।
শুক্রবার (২ আগস্ট) নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
আনোয়ার হোসেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদের ছেলে এবং রোজিনা আক্তারের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়।
এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের সুপারভাইজার আবু সাইদ জানান, আনোয়ার এক নারীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে লঞ্চের ৩১১ নম্বর কেবিন ভাড়া নেয়। লঞ্চটি সকালে সদরঘাটে ভিড়ার পর কেবিন থেকে তারা বের না হলে প্রায় আধাঘণ্টা দরজায় আওয়াজ দেয়া হয়। কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। পরে সদরঘাট নৌ পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে কেবিনের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার আজগর আলী সরকার জানান, সকালে ঘটনাটি লঞ্চের স্টাফরা আমাকে জানায়। আমি তাদের পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চটি সদর ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর পূর্বে আনোয়ার হোসেন তার প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে লঞ্চে উঠে। লঞ্চের ৩১১ নম্বর কেবিন ভাড়া নেয়।
পথিমধ্যে প্রেমিক আনোয়ার হোসেন তার প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজে কেবিনের ফ্যানের সঙ্গে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এর পূর্বে আনোয়ার হোসেন চিরকুট লিখে যায়। সেখানে লেখা ছিল ‘তার প্রেমিকাকে পরিবারের পক্ষ থেকে মেনে না নেয়ায় সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’
নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, লঞ্চ থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য দুটি মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতদের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
https://www.songbadtoday.com/?p=91556
Post Views: ৪৮