চাঁদপুর অনলাইন সাংবাদিক
ফোরামের বার্ষিক বনভোজন
মানিক দাস, চাঁদপুরঃ
ঘুরে এলাম সোনারগাঁও। চাঁদপুর অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের বার্ষিক বনভোজনের মাধ্যমে।২৯ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৮ টায় চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বর মোড় থেকে ঢাকা – চট্টগ্রাম মহা সড়কে চলাচলকারি হিলশা পরিবহনের বাস ( ঢাকা মেঃ ব ১৪ – ৭২৩০) বাস ছেড়ে যায়।সকাল সাড়ে ১১ টায় সোনারগাঁও মামুর বাড়ি রিসোসে অবস্হান করে রান্নার কাজ শুরু।
সবুজ বনানী আর অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য়ের নান্দনিক ও পরিবেশে ঘেরা বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁও।যতটুকু জানাযায়, প্রাচীন সুবর্ণগ্রাম থেকে সোনারগাঁও নামের উদ্ভব বলে ধারণা করা হয়। অন্য ধারণামতে বারো ভূঁইয়া প্রধান ঈশা খাঁ’র স্ত্রী সোনাবিবি’র নামানুসারে সোনারগাঁও নামকরণ করা হয়।
বাংলাদেশের প্রাচীন জনপদের মধ্যে সোনারগাঁও একটি গৌরবময় জনপদ। আনুমানিক ১২৮১ খ্রিস্টাব্দে এ অঞ্চলে মুসলিম আধিপত্যের সূচনা হয়। মধ্যযুগে এটি মুসলিম সুলতানদের রাজধানী ছিল।১৬১০ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ঢাকা সুবে বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষিত হবার পূর্ব পর্য়ন্ত সোনারগাঁও ছিল পূর্ববঙ্গের রাজধানী। সোনারগাঁও-এর আরেকটি নাম ছিল পানাম।
পানাম নগরের নির্মিত ভবনগুলো ছোট লাল ইট দ্বারা তৈরী। ইমারতগুলো কোথাও একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন, আবার কোথাও সন্নিকস্হ। একটি সড়কের উভয় পাশে দৃষ্টিনন্দন ভবন স্থাপত্যের মাধ্যমে পানামনগর গড়ে উঠেছিল। উভয় পাশে মোট ৫২টি পুরোনো বাড়ী এই ক্ষুদ্র নগরীর মূল আকর্ষণ। পানাম শহরের ঠাকুরবাড়ি ভবন ও ঈশা খাঁ’র তোরণকে একত্রে নিয়ে মোট প্রায় ষোল হেক্টর স্থান জুড়ে লোকশিল্প ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের অবস্থান।
এখানে ১টি জাদুঘর, ১টি লোকজ মঞ্চ, সেমিনার কক্ষ ও কারুশিল্প গ্রাম রয়েছে। এখানকার জাদুঘরে প্রায় সাড়ে চারহাজার নিদর্শন সংরক্ষিত আছে। প্রতি শুক্রবার থেকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্য়ন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। তবে শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্য়ন্ত জুমার নামাজের জন্য জাদুঘর বন্ধ থাকার কথা থাকলে ও ২৯ জানুয়ারি পুরোদিন জাদুঘর খুলা ছিল।
চাঁদপুর অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ বিপ্লব সরকার ও সাধারন সম্পাদক শেখ আল মামুনের সার্বিক তত্বাবধানে বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন। সর্বাত্বক সহযোগিতায় ছিলেন মানিক দাস, এস এম সোহেল ও সাঈদ হোসেন অপু।