চাঁদপুর কারাগারে মানব পাচার মামলার আসামী মোস্তফার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টায় ওই কয়েদিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেলের হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘোড়াধারি গ্রামের কাঠ মিস্ত্রী মোস্তফা (৪৫)মেস্তরী।

২ ছেলে ২ মেয়ের জনক ছিলেন। তিনি নারায়নগঞ্জের জনৈক্য ব্যাক্তির দায়ের করা মানব পাচার মামলার অভিযুক্ত ছিলেন। মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ তাকে ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে আটক করেছিল। মোস্তফা (৪৫)মেস্তরীর পিতার নাম রহিম আলী।

মৃত মোস্তফার মেয়ে মুক্তা জানায়, তার চাচা ইব্রাহিম মানব পাচার করে বিদেশে পাঠিয়েছে। সেই মামলায় বাদী পক্ষ আমার  পিতাকে আসামী করলে আমার পিতাকে মতলব থানা পুলিশ আটক করে। সেই থেকে মোস্তফা ১ মাস ১৯ দিন  হাজত খাটে।

গত বৃহস্পতিবার নারায়নগঞ্জের জজ কোট থেকে মানব পাচার মামলায় জামিন পায়। আদালত নাকি বলেছে শুক্র ও শনিবার আদালত বন্ধ থাকার কারণে জেল থেকে সে বের হতে রোববার হবে।

শুক্রবার রাত ১১ টায়মোস্তফা মেস্তরী বমি ও ডায়রিয়া দেখা দেয়। রাত ১২ টায় কারাকতৃপক্ষ মোস্তফা কে চাঁদপুর সরকারি জেনারেলের হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সৈয়দ আহমেদ কাজল মৃত ঘোষণা করে।

মোস্তফার মেয়ে মুক্তা আরো বলেন, আমার বাবা একজন দিন মজুর, মিস্ত্রী কাজ করে। সে কোনো দিন কাউকে বিদেশে পাঠায় নি। আমার চাচা মানুষ কে বিদেশে পাঠাতো। সেই এধরনের কাজ করে আমার বাবাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। আজ আমার মৃত্য হয়েছে জেল হাজতে।

আজ শনিবার দুপুরে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মুকবুল হোসেন মৃতের সুরত হাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ চাঁদপুর মর্গে প্রেরন করে ময়না তদন্তের জন্য। ময়না তদন্তের পর বিকালে মোস্তফার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।