চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় জেলেদের মাছ ধরার মহাউৎসব
মানিক দাস, চাঁদপুরঃ
চাঁদপুর পদ্মা ও মেঘনায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে ফিরেছেন হাজারো জেলে।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
এ সময় পরিচালিত ১,০৬৪টি অভিযানে ১২৯ জন জেলেকে আটক করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ জনকে কারাদণ্ড ও ১২৪ জনকে অর্থ জরিমানা করা হয়।
অভিযানে জব্দ হয়- কারেন্ট জাল ১২ লাখ ৭০৫ মিটার, বেহুন্দি জাল ১৩টি, অন্যান্য জাল ৩৩৪টি, জাটকা ৬ হাজার ৭৬৬ টন, অন্যান্য মাছ, ৩০৫২ টন। জব্দ করা সরঞ্জাম বিক্রি করা হয়। কিক্রি করা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়।
চাঁদপুরের এক মৎস্যজীবী নেতা বলেন, ‘ইলিশ পাওয়ার আশায় জেলেরা নদীতে নামতে শুরু করেছে। ইলিশ ধরা প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। তবে সরকার বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে এবং বিভিন্ন উপকরণ সহায়তা দিচ্ছে, আরও সহায়তা দেবে বলে জানা গেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী বলেন, ‘দুই মাস পর পহেলা মে রাত ১২ টা ১ মিনিটে চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে জেলেরা নদীতে মাছ ধরা শুরু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকা কালে জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৪০ কেজি করে ৪ কিস্তিতে মোট ১৬০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছিল। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘দুই মাসের কঠোর অভিযানের ফলে এবার নদীতে ইলিশের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।
নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘দুই মাসের অভিযানে চাঁদপুর অংশে ১ থানা ও ৫ পুলিশ ফাঁড়ির মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারি চালানো হয়।
এতে ৯ কোটি ৯০ লাখ ৩৪ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ১৮ টন জাটকা জব্দ করা হয়। এর সঙ্গে আটক করা হয় ২৬৮ জন জেলে এবং ১২৩টি নৌযান।’
https://www.songbadtoday.com/%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%86%e0%a6%a8/
Post Views: ৭০