চাঁদপুর হরিণা যানজট ফেরিঘাটে দীর্ঘ যানজট
মানিক দাস:
চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরী ঘাট এলাকায় কিছুদিন ধরে যানবাহনের দীর্ঘ হরিনা ফেরি ঘাট এলাকায় যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিসের হরিনা ফেরিঘাট এলাকা।
যানবাহনের অধিক চাপের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ।
৭টি ফেরি দিন-রাত পারাপারে ব্যস্ত থাকলেও যানবাহনের অধিক চাপের কারণে প্রতিদিনই প্রায় ৫ শতাধিক জানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এসব যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ১-৩ দিনকাটাচ্ছে।
১ জানুয়ারী ফেরী ঘাট ম্যানেজার তুষার জানান, মাওয়া ফেরিচলাচল বন্ধ থাকার কারণে হরিনা ফেরিঘাটে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিসে ৭টি ফেরি রয়েছে। এই অল্প ফেরি দিয়ে এতো অধিক যানবাহন পারাপার কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রতিটি ফেরিতে ৭টি মালবাহি গাড়ী অথবা বাস এবং ৭টি ছোট প্রাইভেট বা মাইক্রো পারাপার করা যায়। আরো বড় ফেরি হলে যানবাহন আরো বেশি নেয়া যেতো। এতে জটলা অনেকটা কমানো যেতো। মূলতঃ ফেরি সংকটের কারণে এবং প্রতি মূহুর্তে যানবাহন বাড়তে থাকার কারণে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।
গত দুই দিন হরিনা ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায় যানবাহনের পাকিং স্পট তথা পুরো মাঠ যানবাহনে ঠাসা।
যানবাহনের এতো অধিক চাপ এর আগে কখনো দেখা যায়নি বলে জানান, ফেরিঘাটের হোটেল ব্যাবসায়ী মালেক গাজী। তিনি বলেন, মাঠ এবং রাস্তাঘাট এখন ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানে পরিপূর্ণ। ফেরিগুলো বিরামহীনভাবে পারাপারে ব্যস্ত থাকলেও শেষ করতে পারছে না।
এদিকে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চালকদের সাথে আলাপ করলে জানান, মাওয়া ফেরিঘাট বন্ধ থাকার কারণে এই ঘাটে চাপ বেড়েছে। যার কারণে আমাদের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এর থেকে উত্তোরণে পথ একটাই সেটা হলো ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা। চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিসে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি না করলে এই জটলা শেষ হবে না।
আর এতে পণ্যবাহী যানবাহনগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে।কাঁচা মালের পরিবহন গুলো। এসব যানবাহনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার না হতে পারলে পঁচে শেষ হয়ে যাবে। তবে ফেরির সংখ্যা না বাড়ালে জটিলতা আরো বাড়বে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ফেরিসার্ভিসে নতুন করে আরে কয়েকটি ফেরি যুক্ত করা দরকার বলে মনে করছেন অধিকাংশ পণ্যবাহী গাড়ীর চালকরা। শীতের মৌসুম আসলেই নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরী চলাচল ও বিঘ্ন হচ্ছে। যার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের যানবাহন চলাচলে হরিণা ফেরী ঘাটে যানজট এখন দীঘ্যতর হচ্ছে। রাতে কুয়াশার চাদরে ঢেকে পরছে নদী সীমা এলাকা। আবার মাওয়া ফেরী ঘাট বন্ধ থাকায় ও চাঁদপুরের হরিণা ফেরী ঘাটে গাড়ির চাপ ও বেরেছে।
এদিকে অস্বাভাবিক ভাবে যানবাহন বেড়ে যাওয়ার কারণে এলাকার অসাধু ব্যবসায়িরা অধিকাংশ জিনিসপত্রের দাম অধিক মূলে যাত্রিদের কাছে বেচাকেনা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে হোটেল ব্যবসায়ীদের অবস্থা পোয়াবারো। তাদের বেচাকেনার ধুম চলছে। তবে দাম রাখার ব্যাপারের যাত্রিদের অভিযোগ রয়েছে।
Post Views: ৩,৫০৬