চাদঁপুরে মাদ্রাসায় মূল্যায়ান পরিক্ষার নামে চাঁদাবাজীর অভিযোগ
মানিক দাস, চাদঁপুরঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রসার (আলিম) মূল্যায়ান পরিক্ষার নামে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে মাদ্রাসার শিক্ষকগন নিজেদের ইচ্ছেমত মূল্যায়ন পরিক্ষা নিচ্ছে, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস মূল্যায়ন পরিক্ষা নেওয়ার বিষয়টি নীতিমালা নেই বলে জানিয়েছে, এবং পরিক্ষার বিষয়টি তাদেরকে অবগত না করে মাদ্রাসার শিক্ষকগণ নিচ্ছে।
পরিক্ষার বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সদস্যদের অনেকেই অবগত নেই বলে জানিয়েছে।
এ নিয়ে এ ফরক্কাবাদ এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ঝড় উঠেছে।
জানা যায়, ফরক্কাবাদ ইসলামি সিনিয়র মাদ্রাসার ১ম শ্রেনী থেকে ১০ শ্রেনীর প্রায় ৬ শতাধিক ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ফ্রি মাধ্যম গতকাল বুধবার থেকে মূল্যায়ন পরিক্ষা শুরু করেছে।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের অবগত না করে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা মোঃ ফখরুল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষকগন এ পরিক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত মতেই পরিক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে মাদ্রাসায় গিয়ে পরিক্ষার সত্যতা পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা ফ্রির বিষয়টি স্বীকার করেন।
তারা বলেন শুরু হয়েছে মাহে রমজান, রাতে সেহেরী খেয়ে সারা দিন রোজা রেখে পরিক্ষা দিতে তাদের কষ্ট হচ্ছে। একটা পরিক্ষা হলে ও হতো, তারা দিনে দুইটি পরিক্ষা নিচ্ছে।
এ পরিক্ষা তাদের উপকারের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার আশংকা করছে তারা ।
এ বিষয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ ফখরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি পরিক্ষা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
বিভিন্ন মাদ্রাসায় নেওয়ায় তিনি পরিক্ষা নিচ্ছে বলে জানান।
ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যনেজিং কমিটির সভাপতিকে মৌখিক ভাবে বলা আছে, অন্য কেউ জানেনি।
তিনি আরো বলেন এ টাকা আমার কাছে এখরো আসেনি। যে শিক্ষকরা টাকা উত্তোলন করেছে তাদের কাছে রয়েছে।কি ভাবে চাঁদা নেয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন ভ্বে টাকা নেয়া হয়েছে। ১’শ টাকা থেকে শুরু করে ৩ শ টাকা পর্যন্ত নেয়ার কথা তিনি অকপটে স্বিকার করেছেন। তিনি আরো বলেছেন অনেক শিক্ষার্থী টাকা দেয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামাল হোসেন বলেন, মূল্যায়ন পরিক্ষা নেওয়ার কোন বিধান নেই। তারা কিভাবে নিচ্ছে, আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি যেহেতু আমি শুনেছে তাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলবো।