শনিবার , ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রাতের আঁধারে দূর্বৃত্তরা শহীদ মিনার ভাংচুর করেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা পর উপজেলার গুনবতী ডিগ্রি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে দুটি স্তম্ভ ভাঙা দেখে নিন্দা জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ।
জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের লক্ষে বৃহস্পতিবার গুণবতী কলেজের শহীদ মিনার সাজানো হয়।
রাত ১২টার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বিএনপিসহ কয়েকটি সংগঠন ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়।
রাত ২টার পর দূর্বৃত্তরা এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভেঙে ফেলে।
খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জামাল হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম মীর হোসেন ও থানা পুলিশ।
এছাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাহফুজুর রহমান ও গুনবতী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরীসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনার পরিদর্শন করেছেন।
গুনবতী ডিগ্রি কলেজের নৈশ প্রহরী সামছুল আলম বলেন, রাত ২টার পর শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভাঙার আওয়াজ শুনেছি। কিছুক্ষণ পর সেখানে গিয়ে কাউকে দেখিনি।
গুণবতী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য একটি পক্ষ শহীদ মিনার ভেঙেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
গুনবতী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ইউসুফ মেম্বার বলেন, দূর্বৃত্তরা গুনবতীর শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করতেই শহীদ মিনার ভাংচুর করেছে। এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
উপজেলা জামায়াতের আমীর মাহফুজুর রহমান বলেন, শহীদ মিনার আমাদের জাতীয় চেতনার প্রতীক। রাতের আধারে শহীদ মিনারের দুটি স্তম্ভ ভেঙে ফেলায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
গুণবতী ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন স্টাফ কাউন্সিলের সেক্রেটারি নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনে কাজ চলছে। এদের নেতৃত্বে কমিটি গঠন হলে তারা তদন্ত কাজ করবে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জামাল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।