শনিবার , ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সোহেল রানা, বরগুনাঃ
বরগুনার তালতলীতে চিরকুমার বাচিন মগ এর অস্তিত্বহীন সন্তান চোপেন রাখাইন নামের এক ব্যক্তি তৈরিকৃত ভূয়া পাওয়ার দেখিয়ে দাতা সেজে জমি বিক্রি করার অভিযোগ উঠছে, মংফো কেরানি নামের এক রাখাইনের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় স্বর্গীয় চিরকুমার বাচিন রাখাইনের রাখাইন এর ছোট বোন বুমা মগনী আদালতে বাদী হয়ে মংফো কেরানী, অস্তিত্বহীন চোপেন, পাওয়ারের পরিচিত থিনঅং ও বরগুনা জেলা প্রশাসক কে বিবাদী করে ২০১৬ সালের ২রা অক্টোবর আমতলী সহকারী জজ আদালতে একটি জাল-জালিয়াতির মামলা করেন।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোক্রাবায়ে মগ এর মৃত্যুর পর তারবসম্পত্তির ওয়ারিশ হন, পুত্র চিংলাফ্রু মগ,বাচিন মগ,কন্যা লামিচে মগনী ও বুমা মগনী, এরপর চিংলাফ্রু ৬০ বছর পূর্বে ও লামিচে মগ ৫৫ বছর আগে মৃত্যু বরন করেন। এর পর ১৯৮০ সালে ৪১ বছর বয়সে মৃত্যু বরন করেন চিরকুমার বাচিন।
এরপর বুদ্ধিস্ট আইন অনুযায়ী স্বর্গীয় বাচিন এর ছোট বোন বুমা মগনীনওয়ারিশ নিযুক্ত হন।
এরপর স্থানীয় কিছু রাখাইন ও কুচক্রী মহলের প্ররোচনায়, চিরকুমার স্বর্গীয় বাচিন মগ এর ভূয়া পুত্র অস্তিত্ব বিহীন চোপেন নামে মনগড়া এক লোক তৈরি করে, সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ভূল তথ্য দিয়ে গত ২০১৩ সালের ১লা আগষ্ট মংফো কেরানী নিজ নামে চার একর বিশ শতাংশ জমির একটি পাওয়ার নিয়ে গোপনে লুকিয়ে রাখে।
বিষয়টি জানতে পেরে বুমা মগনী বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করে। তবে আদালতের জারি কারক একাধিকবার উপজেলার বিভিন্ন রাখাইন পল্লীতে গিয়েও চোপেন রাখাইন নামের কাউকে খুঁজে পায়নি।
বিজ্ঞ আদালত বাধ্য হয়ে বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ঢাক-ঢোল পিটিয়ে চপেনসহ অন্যান্য বিবাদীদের হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভোটার তালিকায় বাংলাদেশে চোপেন রাখাইন নামের কোন ব্যক্তির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
মামলার সংবাদ পেয়ে উপজেলার ছাতন পাড়া রাখাইন পল্লীর বাসিন্দা মংচিন ফ্রু এর পুত্র লাওয়েন নোটারি পাবলিক এর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্যে বলেন, তাকে স্থানীয় মংফো কেরানী,থিনঅং,সোহাগমিয়া, আবুজাফর মোল্লা, আলমগীরমোল্লা, খোকন, নিজাম, সফেজ, ডা.মংমিয়া, মোস্তফা, রিনা, এরা সকলে চোপেন সাজিয়ে জমি আত্মসাৎ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মামলার ৩ নং বিবাদী থিনঅং বলেন, ২০০২ সালে বাচিন মগ এর পুত্র চোপেন বার্মা থেকে এসে পাওয়ার দিয়ে আবার বার্মা চলেগেছে।
এদিকে মামলার ১ নং বিবাদী মংফো কেরানী বলেন, আনুমানিক ১০-১২ বছর আগে বার্মা থেকে চোপেন এসে আমাকে পাওয়ার দিয়ে আবার বার্মা চলেগেছে।