রবিবার , ২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সোহেল রানা, বরগুনা:
বরগুনার তালতলীতে কমডেকা টাওয়ার থেকে নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার পর্যন্ত সড়ক নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে আরসিসি ঢালাই কাজে নির্ধারিত অনুপাত না মেনে ঠিকাদার নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
নিম্নমানের কাদা-বালিমিক্স পাথর দিয়ে ডালাই করলে স্থানীয়দের তোপের মুখে কাজ বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রকৌশলী।
সোমবার(১৭ ফেব্রয়ারী) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক স্থানে আরসিসি ঢালাই কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে কাজ বন্ধ করা হয়।
এসময় নিম্নমানের কাদা-বালিমিক্স পাথর সড়িয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রকৌশলী।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র জানায়, আমতলী-তালতলী সড়কের পূর্ণ নির্মানের জন্য ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ পায় ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
পরে মের্সাস জেমি এন্টারপ্রাইজের মালিক আওয়ামীলীগ নেতা নয়ন মৃধা এই সড়কের কাজের সাব ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ পায়। এই রাস্তার কমডেকা টাওয়ার থেকে নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার পর্যন্ত আরসিসি ঢালাই কাজ রয়েছে।
এই আরসিসি অংশের সরকারী বরাদ্দ হচ্ছে প্রায় ৫৩ লাখ টাকা। সুষম মিশ্রণ ও শিডিউল অনুযায়ী ঢালাইয়ে প্রতি মিশ্রণে এক বস্তা সিমেন্ট, দেড় বস্তা মোটা বালি, তিন বস্তা বড় পাথর ও ছোট পাথর দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কমডেকা টাওয়ার থেকে নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার পর্যন্ত সড়ক আরসিসি’র মাধমে পূর্ণনির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। শুরু থেকেই কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে সড়কের এই আরসিসি ঢালাই কাজেও ব্যাপক অনিয়ম করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
প্রকৌশলীর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এমন অনিয়ম হলে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিক্তিতে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল হক, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো.নসু মৃধা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহম্মেদসহ এলাকাবাসি নিম্নমানের কাদা-বালিমিক্স পাথর দিয়ে ডালাইয়ের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেনকে জানালে তিনি ঘটনাস্থালে আসেন।
পরে নিম্নমানের কাদা-বালিমিক্স পাথর দিয়ে ডলাইয়ের প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। নিম্নমানের পাথর দেখেন ও স্থানীয়দের তোপের মুখে কাজ বন্ধ করেন উপজেলা প্রকৌশলী।
উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক শহিদুল হক বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিক্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সতত্যা পাই। পরে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে এসে নিম্ম মানের উপকরনের সত্যতা পেয়ে ডালাই বন্ধ করে দেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি কালাম বলেন, কাজ সব ঠিকমতোই হচ্ছে। আপনার দরকার হলে সারা দিন দাঁড়িয়ে দেখেন। তবে এই পাথরটা একটু খারাপ।
উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন বলেন,ঠিকাদার বালিমিক্স পাথর দিয়ে ডালাই শুরু করেছেন।
বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বালিমিক্স পাথর ঐ ঠিকাদারকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।