বুধবার , ১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি চট্টগ্রাম :-
মেয়র আসে-যায় কিন্তু বছরের পর বছর জলাবদ্ধতা, রাস্তাঘাটসহ কোনো সমস্যার সমাধান হয় না বন্দরনগরী চট্টগ্রামের। সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে নবনির্বাচিত মেয়রের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা দরকার বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদ। আর সচেতন নাগরিক সমাজ (সনাক) মনে করে, সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করা নগরপিতার প্রধান চ্যালেঞ্জ। অবশ্য নগরবাসীর সমস্যা সমাধানে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন নবনির্বাচিত সিটি মেয়র। প্রতি পাঁচ বছর পরপর মেয়র পরিবর্তন হয়। কিন্তু নগরবাসীর ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না।
নগরীর সমস্যাগুলো সমাধানের বদলে হয়েছে আরো প্রকট। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে জলাবদ্ধতা বন্দরনগরীর সবচেয়ে বড় সমস্যা। বর্ষা এলেই পানির নিচে তলিয়ে যাবে, এটি যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে সঙ্গে সড়কগুলো খানাখন্দকে ভরে ওঠে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় গাড়িচালক ও নগরবাসীকে। বর্তমানে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ নাগরিক জীবন।
নগর পরিকল্পনাবিদ বলছেন, সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে নাগরিক ভোগান্তি নিরসনই নতুন মেয়রের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান বলেন, এখানে সব সময় সমন্বয়হীনতাকে দোষারোপ করা। এর মাধ্যমে তারা দায় এড়াতে চায়।
সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি আখতার কবির চৌধুরী বলেন, সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করাই মেয়রের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ। অবশ্য সকল সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে নগরবাসীর সমস্যা সমাধানে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন নবনির্বাচিত সিটি মেয়র।
নবনির্বাচিত সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, যে কোনো কিছুর মোকাবিলা আমি করব। তবুও এলাকাকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করে ছাড়ব। শতভাগ না হলেও ৮০-৯০ শতাংশ নির্মূল করা সম্ভব যদি সব সেবা সংস্থা আমাকে সহায়তা করে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার ভোটার ছিলেন ১৯ লাখের বেশি।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।