নওগাঁর নিয়ামতপুরে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোজাফফর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক দিজেন্দ্রনাথ দাস অপর এক দলিল লেখক সাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন দলিল লেখক সাজেদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার( ১০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের দলিল লেখক সাজেদুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে সাজেদুল ইসলাম বলেন, গত ৮ এপ্রিল নিয়ামতপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোজাফফর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক দিজেন্দ্রনাথ দাস এক সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যে অভিযোগ উত্থাপন করেন। তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে বিভ্রান্তমূলক এবং আমার ব্যক্তিগত ও পেশাগত সম্মানহানীর উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। আমি ঐ সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমার উপর যে মিথ্যে কথা ও দোষ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করছি।
সাজেদুল ইসলাম আরো বলেন, ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন মমিনুল ইসলাম এবং কোষাধ্যক্ষ আদায়কারী ছিলেন শহিদুল ইসলাম।
উক্ত সময়ে আমি তাদের হিসাব-নিকাশ ও খাতাপত্র দেখার ৩নং অডিটর ছিলাম। সে সময় আমরা অডিট করি সাধারণ সম্পাদক ও আদায়কারীর কাছে মোট ৮৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ২শ ২৮ টাকা ঘাড়তি পাই। সেই অডিট রির্পোট বর্তমান সভাপতি মোজাফফর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক দিজেন্দ্রনাথ দাসের কাছে জমা দেওয়া হয়। তারা এ বিষয়ে তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহন করেন নাই। কারণ আমার মনে হয় তারাও এ অনিয়মের সাথে সজিত ছিল। সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি মোজাফফর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক দিজেন্দ্রনাথ দাস আওয়ামীলীগের দোসর ছিল।
শহিদুল ইসলাম সমিতির টাকা না বুঝে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে।
মোজাফফর হোসেন ও দিজেন্দ্রনাথ দাস শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত একটি বিষয় চালু করতে চান। আমি ৩নং অডিটর হিসাবে খাতাপত্র অডিট করার কারণে শহিদুল ইসলাম মোকাম সহকারী জজ আদালত নওগাঁয় আমার নামে মামলা করেন। আমি অডিট করার কারণে মামলার আসামী হলাম আর আমি নাকি টাকা আত্মসাৎ করেছি। আমি ঐ মামলার ৬নং আসামী।
৬নং আসামী হয়ে আমি কি করে অডিটের কাগজপত্র বুঝিয়ে দেই। সংবাদ সম্মেলনে মোজাফফর হোসেন ও দিজেন্দ্রনাথ দাস আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত আমার মান ক্ষুন্ন করে। শদিুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলিল লেখকদের এসএসসির সার্টিফিটেক না থাকায় ১৩ জনের লাইসেন্স বাতিল হয়। সে টাও নাকি আমার জন্য হয়েছে।
২০১৮ সালে আমি সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কিংবা কোন কমিটির কোন পদে ছিলাম না। তাহলে আমি কি করে ১৩জন বাতিল হওয়া দলিল লেখকদের কাছ থেকে টাকা গ্রহন করলাম।
নিজের দোষ অপরের উপর চাপয়ে দিয়ে পার পাওয়া যায় না। তাই আমি গত ৯ এপ্রিল মোজাফফর হোসেন ও দিজেন্দ্রনাথ দাসের ঐ সংবাদ সম্মেলনের জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রত্যাখ্যান করছি।