বুধবার , ১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃইমরান ইসলাম,নিয়ামতপুরঃ
চায়ের স্টীলের থালা বাসন মেজে,শীতকালে রাস্তার ধারে বসে ধুপি পিঠা বিক্রি, একমাত্র ছেলে পড়ালেখার পাশাপাশি রাস্তার ধারে চা ষ্টল করে বেঁচে থাকার জীবন সংগ্রাম।অথচ এক সময় কোটি টাকার সম্পদ ছিল এই পরিবারের। উপজেলা পরিষদের মেইন গেইট থেকে মাত্র ৪০ ফিট দুরে এই সম্পত্তি। কোটি টাকার সম্পত্তি হারিয়ে নিঃস্ব অসহায় বিধবা ও তার সন্তানের আকুতি একবার হলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা গরীব অসহায়ের জননী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে চান তিনি। মনের যত কষ্টের কথা সরাসরি বলতে চান।
অসহায় বিধবা মানুষটি নিয়ামতপুর উপজেলার বালাহৈর (হানুপাড়া)’ছিন্নমূল বাসিন্দা মৃত সাইফুদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা ও তার ছেলে জাবেদ আলী।সরেজমিনে জানা যায়, বালাহৈর মৌজার সিএস খতিয়ান ২০৩, এসএ খতিয়ান ২২৩ এবং আরএস খতিয়ান-২ এর সাবেক দাগ ২১৭, ২১৮ হাল দাগ ৩৮৭ নং এ ৯৮ শতাংশ জমির মধ্যে ২১ শতাংশ খাস সম্পত্তি হয়ে যায়।
অথচ পুরো সম্পত্তির দখল করে সরকার সেখানে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম ও মার্কেট নির্মাণ করে। আর অসহায় বিধবা জাহানারা ও তার সন্তান অর্থের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে।ভুক্তভোগী জাহানারা জানান, আমার স্বামীর পূর্ব পুরুষের সম্পত্তি এটি, সিএস, এসএস এ ৯৮ শতাংশের মধ্যে ৭৭ শতাংশ সম্পত্তি পূর্বপুরুষের নামেই ছিল। কিন্তু আরএস খতিয়ানে পুরো সম্পত্তি ভূলবশত সরকারের নামে অর্থাৎ ২ নং খাস খতিয়ানভুক্ত হয়ে যায়। আদালতে রেকর্ড সংশোধনীর মামলাও করা হয়েছিল। অথচ মামলা নিস্পত্তি না করেই অজ্ঞাত কারণে মামলাটি বাতিল করে দেওয়া হয়। আর সেই সম্পত্তির উপর নির্মাণ করা হয় সরকারী স্থাপনা।
এতবড় আঘাত সস্থ্য করতে না পেরে আমার স্বামী হার্ট এ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামী হারিয়ে দুধের শিশুকে নিয়ে আমি বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। স্থানীয় এমপির কাছেও গিয়েছি কিন্তু কোন বিচার পাই নাই। আমি আমার সম্পত্তি পাই বা না পাই আমার একটাই চাওয়া পাওয়া, মৃত্যু আগে একবার হলেও শেখের বেটি শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে চাই। আমার কষ্টের কথা সরাসরি বলতে চাই।এতিম জাবেদ আলী জানান,জায়গা তো জোর করে দখল করেছে। আমাকে অন্যায়ভাবে আটক করে বিনা নোটীশে আমার অন্যান্য সম্পত্তি, টিন, ইট, ও কাঠ অন্যায়ভাবে নিলামে বিক্রি করে দেয়।