গোলাম সাহাদাত খান সোহেল:
ফসল রক্ষা বাঁধ না থাকায় ভোগান্তিতে রয়েছে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউনিয়নের (৮)আট গ্রামের মানুষ। প্রতি বছর বোরো আবাদের সময় গ্রামবাসীর সম্বলিত চেষ্টায় ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়।যদি ও ফসল রক্ষা বাঁধ সম্পর্কে নেই তাদের কোনো পরিপূর্ণ ধারণা।জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি অবগত থাকলে ও মিলছে না স্থায়ী কোনো সমাধান।
নদীর নাম ধনাইখালী।ধনাইখালী নদীর তীরবর্তী গোপালপুর হইতে দরুন সাহতা হয়ে টঙ্গীভিটা পর্যন্ত ধনাইখালী নদীর তীর ঘেষে অবস্থিত আট (৮)গ্রাম।ডেমুরা, কদিম চাপারকোনা,ধুপাপাড়া,দক্ষিণ ডেমুরা,জিথন,গন্ধবপুর,দরুন সাহতা,গোপালপুরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ধনাইখালী নদী।নদীর তীরে রয়েছে দরুন সাহতা প্রাথমিক বিদ্যালয়। পুরোদমে চলছে দরুন সাহতা ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ।যদি ও ফসল রক্ষা বাঁধ সম্পর্কে গ্রামবাসীর নেই কোনো মুখ্য ধারনা।প্রতি বছর নিজেদের স্বপ্নের ফসল রক্ষার জন্য নির্মাণ করা হয় বাঁধ।গ্রামবাসীর উদ্যোগে বাধ নির্মাণ হলেও বর্ষায় তলিয়ে ভেঙে যায় বাঁধ।ফলে প্রতিবছর গ্রামবাসী প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন সহ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দ্বারস্ত হয়। ইতিবাচক কোনো সারা পায়নি গ্রাম বাসী। নদীর দুপারে রয়েছে জনবসতি।শান্তস্বভাবের হলেও, বর্ষার শুরুতে বারি বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধারণ করে ভয়ানক রুপ।ভেসে যায় কৃষকের ঘাম ঝরানো স্বপ্নের ফসল ও মাছের ঘ্যার। এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য রতন মিয়ার উদ্যোগে চলছে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ।দরুন সাহতা ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মান হলে রক্ষা পাবে (৮)আট গ্রামের প্রায় (৪০০) চারশত একর জমির ফসল। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে,গড়ে উঠবে সোনার বাংলা।ধনাইখালী দরুন সাহতা ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হলে গোছে যাবে কৃষকের দুঃখ দর্দশা,ফুটে উঠবে কৃষকের মুখে হাসি।
এলাকাবাসীর এই চরম দুর্ভোগ লাগবে সরকার দ্রুত বাস্তবায়ন করবে এই দরুন সাহতা ফসল রক্ষা বাঁধ। এমনটি আস্তার সহিত প্রত্যাশা সাহতা এলাকাবাসীর। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সারওয়ার জাহান জানান, দরুন সাহতা ফসল রক্ষা বাঁধ সম্পর্কে অবগত আছি, উপর মহলে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্তা নেওয়া হবে।