বুধবার , ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে ১১নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাধানগর মক্তব পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে দশজন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও প্রর্তক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভা নির্বাচনে ১১নং ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর ফরিদুল ইসলাম ডালুর পক্ষে মিছিল বের করেন তার সমর্থক কয়েকশ নারী-পুরুষ। এ সময় একই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী পাঞ্জাবী প্রতীকের প্রার্থী সানাউল হক সানুর সমর্থকরা হাতুড়ি ও রড নিয়ে হামলা চালিয়ে কয়েকজন নারীও পুরুষকে আহত করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে মিছিল বের করেন ডালুর সমর্থনের স্থানীয় ওয়ার্ড-এর নারী ও পুরুষরা।
পরে পুলিশি প্রহরায় কাউন্সিলর প্রার্থী ডালুর সমর্থকরা মিছিল নিয়ে পৌর এলাকার ১১নং ওয়ার্ড এর মক্তব মোড় এলাকায় এলে, সানুর সমর্থকদের সাথে আবারো সংঘর্ষ বেধে যায়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে ডালুর সমর্থনে মিছিল নিয়ে আসার সময় প্রতিপক্ষের একজনকে আঘাত করেছে বলে জানা গেছে। তিনি বর্তমানে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিষয়ে কাউন্সিলর ফরিদুল ইসলাম ডালু বলেন, তিন তিনবারের এই ১১নং ওয়ার্ড-এর নির্বাচিত কাউন্সিল আমি। এলাকার সকলে আমার পক্ষে কাজ করছে। প্রতিপক্ষের পাঞ্জাবি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকেরা অমার বাসার উপর নারী ও পুরষ ভোটারদের উপর হামলা করছে। বিষয়টি এই নির্বাচনের পরিবেশকে নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে তারা। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি করছি নির্বাচন কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে।
এ ঘটনার বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত রওশন আলী বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক পৌর এলাকার ১১ ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমান কাউন্সিল ফরিদুল ইসলাম ডালুর পক্ষে স্থানীয় ওয়ার্ডের নারী ভোটারা একটি মিছিল বের করা প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এ সময় আরেক পক্ষের কাউন্সিলরের পক্ষের সমর্থকেরা তাদের উপর হামলা করেছে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘোটেছে। ঘটনাস্থলে আমি নিজে গিয়েছি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশি নিরপত্তার মধ্যে নির্বাচনী মিছিল করে তারা। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় পক্ষের কেউ এখনো কোন লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানাতে আসেনি। হতাহতের বিষয়ে এখনো কোন তথ্য আমরা পাইনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।