বুধবার , ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিরোজপুরে আগামী ২ মে শুরু হতে যাচ্ছে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়ামের কনফারেন্স রুমে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভাটি আয়োজন করে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ পিরোজপুর জেলা শাখা। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্মৃতি সংসদের জেলা সভাপতি রেজাউল করিম মিটুল এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক লিটন খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলার ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব গাজী কামরুজ্জামান শুভ, বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সভায় বক্তারা বলেন, আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন একজন ক্রীড়ামোদী এবং তরুণ প্রজন্মের মাঝে ক্রীড়া চর্চার প্রসারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে ক্রীড়া ও শৃঙ্খলার বার্তা পৌঁছে দিতে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। সভায় আরও জানানো হয়, ফুটবল খেলা শুধু একটি খেলা নয়, এটি যুব সমাজকে মাদক, সন্ত্রাস ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে রাখার একটি কার্যকর উপায়। টুর্নামেন্টের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলার তরুণদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব, পারস্পরিক সম্মান এবং শারীরিক সুস্থতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। বক্তারা টুর্নামেন্টটির সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য মাঠ ব্যবস্থাপনা, রেফারির নিরপেক্ষতা, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এবং দর্শক নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, টুর্নামেন্টটি আগামী ২ মে থেকে শুরু হবে এবং এতে জেলার আটটি শক্তিশালী দল অংশগ্রহণ করবে। অংশগ্রহণকারী দলগুলো হল: আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ, পিরোজপুর সদর একাদশ, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ, পিরোজপুর পৌর একাদশ, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ, জিয়ানগর একাদশ, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ, নাজিরপুর একাদশ, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ, নেছারাবাদ একাদশ আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ, ভান্ডারিয়া একাদশ, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ, মঠবাড়িয়া উপজেলা ও পৌর একাদশ, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ, কাউখালী একাদশ।
আয়োজকরা জানান, প্রতিটি দলের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রতিটি খেলায় জেলার অভিজ্ঞ রেফারিরা দায়িত্ব পালন করবেন। এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে জেলার ক্রীড়াঙ্গনে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হবে এবং তরুণ প্রজন্ম আরও বেশি ক্রীড়ামুখী হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।