শুক্রবার , ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোঃ শিবলী সাদিক, রাজশাহীঃ
রাজশাহীতে পুলিশের এক কনস্টেবলকে জিম্মি করে আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। পরে খবর পেয়ে থানা-পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় একজনকে আটকও করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার মূলহোতা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যের নাম বদিউজ্জামান জনি। তিনি রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভোররাতে ডিউটি শেষে বাড়ি বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। তখন নগরের টুলটুলিপাড়া মোড়ে তাকে ধরে আটকে রাখেন ছয় যুবক।
এ সময় তার কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করা হয়।
পুলিশ বলছে, এই ঘটনার মূলহোতার নাম মো. মিলন (৩৫)। তার বাড়ি নগরের হড়গ্রাম এলাকায়। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। প্রায় সাত মাস আগে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক হয়েছিলেন মিলন। সে দিন কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মামলা লিখে ছিলেন জনি। সেই রাগেই জনিকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন মিলন।
পুলিশ জানায়, কনস্টেবল জনি পরিবার নিয়ে নগরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় থাকেন।
থানায় ডিউটি শেষে ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে টুলটুলিপাড়া মোড়ে মিলনসহ পাঁচ-ছয়জন তার গতিরোধ করেন। এরপর দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় তাকে। এ সময় তার কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করা হয়।
মিলন ওই কনস্টেবলকে বলেন, ওই মামলায় গ্রেপ্তারের পর জামিন হতে তার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকা এখন দিতে হবে। প্রাণহানির ভয়ে কনস্টেবল জনি তখন তার এক বন্ধুকে ফোন করেন টাকার জন্য। পরে তার ওই বন্ধু বিষয়টি জনির বাবাকে জানান। এরপর জনির বাবা বিষয়টি রাজপাড়া থানায় জানান। পরে প্রায় দুইঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে জনিকে উদ্ধার করে।
এ সময় মিলনসহ অন্যরা পালিয়ে গেলেও সানোয়ার নামের একজনকে আটক করতে পারে পুলিশ।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, ‘মিলন সম্প্রতি জেল খেটে জামিনে বের হয়েছে। এরপর থেকেই কনস্টেবল জনিকে জিম্মি করার জন্য ওঁৎ পেতে ছিল। ভোররাতে তাকে পেয়ে জিম্মি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করেছি।’
ওসি জানান, এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।
এতে আসামি হিসেবে মিলন ও সানোয়ারসহ চারজনের নাম উল্লেখ আছে। অজ্ঞাত আসামি আছেন আরও ছয়-সাতজন।
মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সানোয়ারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মূলহোতা মিলনসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।