বুধবার , ১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তাবারক হোসেন আজাদ, লক্ষ্মীপুরঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রবাসী স্বামীর কণ্যা সন্তানসহ অনশন শুরু করেছেন এক গৃহবধু।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ২টা থেকে উপজেলার দক্ষিন চরবংশী ইউপির মিয়ারহাট গ্রামের চল্লিশঘর এলাকার প্রেমিক দিনমজুর রাজিব হোসেনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত ওই গৃহবধু এখন সাবেক ইউপি সদস্য হাসেমের বাড়ীতে অবস্থান করছেন।।
প্রেমিক রাজিব হোসেন ওই গ্রামের মৃত মজিদ হকের ছেলে। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধু ও এক কণ্যা সন্তানের জননী একই এলাকার প্রবাসী তুহিনের স্ত্রী এবং চরআবাবিল ইউপির হায়দরগন্জ বাজারের পরে শহড়আলী মোড় এলাকার হামিদ আলীর মেয়ে। সোমবার বিকেলে পর প্রেমিক রাজিব হোসেনসহ তার মা বাড়ির বসতঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়েছেন।
ওই গৃহবধু জানান, স্বামীর বিদেশ যাওয়ার পর এক বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক রাজিব তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। সম্প্রতি বিষয়টি পরিবার জেনে যায়। এরপর থেকেই রাজিবকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে রাজি হননি প্রেমিক। এক মাস আগে তিনি রাজিবের বাড়িতে গিয়ে তার মা ও বোনদের বিষয়টি জানান। ওই সময় তারা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দেন।
এখন সেই সম্পর্ক অস্বীকার করছে প্রেমিক। তার পরিবারও এই সম্পর্ক মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে তিনি অনশন শুরু করেছেন।
প্রেমিক বিয়ে না করলে আত্মঘাতি হবেন বলেও জানান ওই গৃহবধু।
পলাতক থাকায় এ নিয়ে প্রেমিক রাজিব হোসেনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার বোন ফাতেমা বলেন, তার ভাইয়ের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নেই। তবে গৃহবধু তানিয়া তার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পরই রাজিবকে বিরক্ত করে আসছে।
তানিয়া তার প্রবাসী স্বামীকেও প্রেম করে বিয়ে করেছিলো।
উপজেলার দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাবেক ও বর্তমান মেম্বারদের সহযোগিতায় উভয় পরিবারের মধ্যে আলোচনা চলছে। দুই পক্ষই মীমাংসায় রাজি হয়েছে।
এ বিষয়ে হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, এ নিয়ে ওই গৃহবধু তানিয়া লিখিত অভিযোগ করেছিলো।
অভিযোগ পেয়ে রাজিবের পরিবার মিমাংশার কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু উভয়পক্ষ আর আসেনি। এখন তানিয়া বিকালে বিচার চাইতে আসলে মেম্বারকে দায়িত্ব দেয়া হয়। যদি মিমাংশা না হয় আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।