বুধবার , ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মেঘ ঢাকা আকাশ, হাতে কফির কাপ। ছাঁদে বসে একলা মনে ভাবি !
সকালের এই মেঘলা আকাশটার দিকে তাকিয়ে !
মেঘে জমা ধূসর আকাশটাও তো আমার মতো ব্যাথায় কাতর ? তবুও সে-নিজের মতো বাঁচে !
এক পশলা বৃষ্টির ঝরিয়ে নিজের মতো রঙধনু’তে সাজে, তবে কেনো আমি” আজও পুরোনো সেই আমিই রয়ে গেলাম !
হুম, জীবনের জটিলতায় হয়তো আমি ফেঁসে গিয়ে ছিলাম, হয়তো আবেগের তাড়নায় পড়ে কোনো একসময় আমি, কোনো একজনের জন্য বাঁচতে চাইতাম !
সে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আমার মনে হয়ে ছিল পৃথিবীতে আমি বড্ড একা !
আমার ভালোবাসা গুলো এক এক করে সব হারিয়ে গেছে, আমার তখন মনে হয়ে ছিল, আমি মরে গেলেই হয়তো ভালো হবে, এখন ঘুমের বড়ীর খালি পাতা গুলো আমায় ইশারায় ধিক্কার দিয়ে বলে, তুমি খুব বোকা ছিলে, তাই তো যখনতখন তলিয়ে যেতে মৃত্যুর মুখে !
আজ-আমিও তাই ভাবি !
সত্যিই তো, পৃথিবীতে কেউ কারোর জন্য বাঁচে না, বাঁচতে হয় নিজের জন্য, হোক না সংগ্রাম করে !
কিংবা কোনো নতুন পথ ধরে। তার পর আমি বাঁচতে শুরু করলাম, নিজের মতো করে, এখন সকাল গুলো কেমন যেন, একদম অন্যরকম লাগে !
এখন ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে গেলে, আমার হাজারো বছর বাঁচার ইচ্ছে জাগে মনে !
আমি প্রতি বর্ষায় এমন ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে চাই !
আমি এখন আমার জন্য আয়নায় ফ্রেমে বাঁধা পড়ি, বার বার নিজেকে দেখি। আমি আমার জন্য, আবারো গায়ে জরিয়ে নিই শখের শাড়ী গুলো, কপালে পড়ি কালো টিপ,লাল টিপ, চোখের কোণ জুড়ে এখন আর অশ্রুর ঠাঁই নেই, তাই কাজল’টাও থেকে যায় নিয়ম করে। এখন নাই-বা পেলাম হাতে কদম গুচ্ছ, নাই-বা পেলাম খোঁপায় বেলীফুলের মালা !
এখন আমার জীবনটা ধুয়েমুছে একদম অন্যরকম করেছি, দিনশেষে এখন আর শূন্যতা ঘিরে ধরে না, এখন কেউ আর আমাকে ভাঙতে পারে না, কারণ আমি সময়ের ভীড়ে মিশে গেছি !
শুকরিয়া সৃষ্টি কর্তাকে,আমার মনে নতুন করে বাঁচার ইচ্ছে জাগিয়েছেন। আজ চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে, আমি বাঁচবো, নিজের জন্য বাঁচবো, একটা মৃত’স্বপ্ন কুঁড়ি ফোটানোর জন্য বাঁচবো !