বুধবার , ১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ক্যাশ থেকে ২৭ লক্ষ টাকা তছরুপ করেছেন নিম্নমান সহকারী সাবেক ক্যাশিয়া মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
নাজিম উদ্দিন (১৯-৬-১৩) ইং তারিখে ভোলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ক্যাশিয়ার পদে যোগাযোগ করেন।
(৩০-৯-২১) ইং তারিখে আন্তঃজেলা বদলির কারণে একই আদালতের টাইপিস্ট মোঃ আবুল হাশেমের নিকট দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন।
দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় ২০ লক্ষ টাকা আদালতের ক্যাশ থেকে তসরুপ করে নিয়ে গেলেও কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তৎকালীন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফ মোঃ সানাউল হক।
পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞপ্তি নং ১৩৪জে তারিখ ২৩-৯-২১ইং এবং জেলা ও দায়রা জজ এর কার্যালয়ে ভোলা এর অফিস আদেশ নং ১২৪ তারিখ ২৬-৯-২১ তারিখের আদেশ মূলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত লালমনিরহাট এর বদলি মূলে যাবার কালেও অত্র আদালতের ক্যাশের উক্ত টাকা পরিশোধ করেন নাই এবং সে সময়ের দায়িত্বরত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকও তা বুঝে নেন নি।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগ ঢাকা বিচার শাখা এর বিগত ০২-৬-২২ ইং তারিখে বিজ্ঞপ্তি নং ২৮০জে এবং স্মারক নং ১ই-৪২৩/২০১১(অংশ-৪)৪৬৫৯(৫)জেএবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভোলার অফিস আদেশ নং ৯১ তারিখ (৮-৬-২২) ইংরেজি তারিখে পুনরায় নিম্নমান সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ফের ভোলার আদালতে যোগদান করেন।
যোগদান পরবর্তীতে ইতিপূর্বে তসরূপ করা ২০ লক্ষ টাকা পরিশোধ না করে পুনরায় ক্যাশের দায়িত্বপ্রাপ্ত টাইপিস্ট/কপিস্ট ক্যাশের দায়িত্বে থাকা মোঃ আবুল হাশেম নিকট হতে আবারো ৫৭০৫০০ টাকা নিয়ে যায়।
সাবেক প্রভাবশালী নেতা তোফায়েল আহমেদের আশীর্বাদপুষ্ট মোঃ নাজিম উদ্দিন এর একের পর এক অর্থ তসরূপে ভেঙে পড়ে ভোলার চিফ জুডিসিয়াল আদালত এর অর্থ ব্যবস্থাপনা। বারবার প্রতিকার নিয়ে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোলার সাবেক চিফ জুডিসিয়ালকে অবহিত করলেও অজানা কারণে ব্যবস্থা নেননি তিনি।
এদিকে ভোলার চিফ জুডিসিয়াল আদালতে নতুন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া যোগদান করার পর অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির এ বিষয়টি সামনে আসে। তাৎক্ষণিক তিনি অডিট করে ২৭ লক্ষ টাকার ঘাটতি নিরূপণ করেন এবং ক্যাশিয়ার মোঃ নাজিম উদ্দিন এবং দায়িত্বরত ক্যাশিয়ার মোঃ আব্দুল হাশেম কে উক্ত তসরুপ করা ২৭ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অফিসিয়াল এবং অফিসের বাইরেও এ টাকা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা চালালে দায়িত্বরত ক্যাশিয়ার মোঃ আবুল হাসেম ও সাবেক ক্যাশিয়ার মোঃ নাজিম উদ্দিন তিন মাসের বেধেঁ দেওয়া সময়ের মধ্যে মাত্র ৪ লক্ষ টাকা ফেরত দিলেও অদ্যবধি ২১৭০৫০০ টাকা ফেরত দেননি। বর্তমান চিফ জুডিসিয়াল তসরুপ করা ২৭ লক্ষ টাকা ফেরত দেয়ার জন্য গত ৪ মে স্বাক্ষরিত ৯৬ (প্রশা) স্মারক নাম্বার মূলে মোঃ নাজিমুদ্দিনের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা সকল টাকা ফেরত চেয়েছেন। একই অনুলিপি সিনিয়র জেলা এবং দায়রা জজ ভোলা বরাবর ও প্রেরণ করেছেন।
উল্লেখ্য নাজিম উদ্দিন এর আগে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের ৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের নের্তৃবৃন্দরা ।
গাজীপুরে আনন্দ টিভির প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন !!