শনিবার , ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আরিফুর রহমান, কক্সবাজার :
সৌদি আরবের মদীনায় একটি সোফা কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত বাংলাদেশীদের তিন যুবকেরই বাড়ী কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে। নিহত ৩ জনই মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা (ডেম্বনী) পাড়ার বাসিন্দা।
গত ১০ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) সৌদি আরবের মদিনায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটলে মোট ৭ বাংলাদেশী নিহত হয়। এর মধ্যে ৩ জন্যই মহেশখালীর একই গ্রামের। ভাগ্য বদলের বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে সৌদি আরব যাওয়া এই ৩ প্রবাসীর ঘরে ঘরে এখন কান্নার রোল পড়েছে।
মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন বলেনঃ- নিহত ৩ যুবক হচ্ছেন যথাক্রমে কবির আহামদের ছেলে আবদুল আজিজ, জালাল আহামদের ছেলে মোহাম্মদ ইসহাক ও আবদুল গফুরের ছেলে মোহাম্মদ রফিক।
নিহত তিন জনেরই বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। ১১ ফেব্রুয়ারী (বৃহষ্পতিবার) সকালে নিহতের সংবাদ এলাকায় পৌঁছালে গোটা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে ।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন জানানঃ- ঘটিভাঙ্গা (ডেম্বনী) এলাকায় ৩ প্রবাসী যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে আহাজারি চলছে। আমি এ খবর শুনে উক্ত এলাকায় যাই এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের শান্তনা জানাই।
ঘটিভাঙ্গা (ডেম্বনী) পাড়ার বাসিন্দা আলমগীর চৌধুরী জানান, আমার বড় ভাই জালাল আহমদের দ্বিতীয় পুত্র মোহাম্মদ ইসহাক (২৫) মাত্র ১৪ মাস আগে সৌদি আরব গিয়েছিল। আর কয়েক মাস পরই আমার ভাইপো দেশে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল।
তিনি আরো জানান, নিহত ইসহাক ৩ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। সন্তানের মৃত্যুতে পিতা জালাল ও তার স্ত্রী এখন বাকরুদ্ধ। একই এলাকার নিহত আজিজ এবং রফিকের ঘরেও বিষাদময় অবস্থা বিরাজ করছে।