মহেশখালীতে মামলার বাদীকে

হুমকির অভিযোগে থানায় ডায়েরী

আরিফুর রহমান, কক্সবাজার :

কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে বহু অপকর্মের হোতা, নারী লোভী, প্রতারক হাফেজ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় সাধারণ ডায়রী (জিডি) করেছে তার ৪র্থ স্ত্রী নাইমা সোলতানা। ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-০২, আদালতে মামলা করার কারনে হুমকি দেওয়ায় মহেশখালী থানায় সাধারণ ডায়রী করেছে বলে জানা যায় ৷

থানায় দায়ের করা ডায়রী সূত্রে জানা যায়ঃ- কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার অন্তর্গত ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পশ্চিম সিপাহীর পাড়ার মৃত মৌঃ মােছাদ্দেকুর রহমানের পুত্র হাফেজ ওমর ফারুক (৪০) ও এমরান ফোরকানী (৪৫) এদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রী দায়ের করেন ওমর ফারুক এর ৪র্থ স্ত্রী নাইমা সোলতানা। ওমর ফারুক (৪০) নাইমা সোলতানার স্বামী ও এমরান ফোরকানী (৪৫) নাইমা সোলতানার ভাশুর হয়।

গত ৩০/০৭/২০১০ইং তারিখ ওমর ফারুক (৪০) এর সাথে ইসলামী শরীয়তের বিধান মতে নাইমার বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে স্বামী ওমর ফারুক পরকীয়া প্রেমে মগ্ন থেকে যৌতুকের দাবীতে নাইমাকে মারপিট সহ শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে থাকে।

পরবর্তীতে গত ২/১/২০২১ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০ টার সময় স্বামী ওমর ফারুক, ভাশুর এমরান ফোরকানী, নাইমাকে যৌতুকের দাবীতে মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দিলে নাইমা উক্ত বিষয় নিয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-০২, কক্সবাজার বরাবরে সি,পি মামলা নং-১৩/২০২১ইং দায়ের করেন।

মামলার বিষয়টি জানতে পেরে স্বামী ওমর ফারুক, ভাশুর এমরান ফোরকানী, নাইমাকে মােবাইল ফোন সহ বিভিন্ন মাধ্যমে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধমকি দিয়ে আসতেছে।

ইতিপূর্বে গত ২৯/০১/২০২১ইং বিকাল অনুমান সাড়ে ৪ টার সময় স্বামী ওমর ফারুকের ব্যবহৃত ০১৮১৮৮৬৯৫৩২/০১৮২৮০২৫১১৫ ফোন নাম্বার হতে নাইমার এই ০১৬৪০৭০০২৩৭ ফোন নাম্বারে কল করে নাইমাকে বলে, ‘এত ছােট মামলা করে আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবি না, আরাে বড় বড় মামলা করার চেষ্টা কর’। যদি আমাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তুলে না নিস, তাহলে তুর (নাইমার) পরিবারের কাউকে ছাড়বো না’।

‘এলাকায় কেউ থাকতে পারবি না বলে ফোন বন্ধ করে দেয়। নাইমার ধারণা, তার স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তুলে না নিলে নাইমা ও নাইমার পরিবারের লােকজনদের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে।

পরে নাইমা ঘটনার বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য লােকজনদের অবহিতক্রমে নিরুপায় হয়ে উক্ত বিষয়ে ভবিষ্যতের জন্য মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)র সদয় অবগতির নিমিত্তে অত্র সাধারণ ডায়রী দায়ের করেন।

মহেশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আশেক ইকবাল বলেন- উক্ত বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়রী পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।