বুধবার , ১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এম ইব্রাহিম খলিল, সীতাকুন্ডঃ
মিরসরাই উপজেলার এলজিইডির প্রকৌশলী ও ফ্যাসিস্ট পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও তার ছেলের আস্থাভাজন ও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহার ব্যাপক আর্থিক কেলেঙ্কারি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এখনো বহাল তবিয়তে আছে।
চট্টগ্রামের গুরুত্বপুর্ন ৫টি উপজেলায় ফ্যাসিস্ট পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের দোসর গাড়িদিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বাবুরা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করছে। বদলির করতে মন্ত্রণালয়ে ভয় পাচ্ছে। একজন কে দুই মাসে দুই বার বদলির আদেশ হলেও অবৈধ অনৈতিক তদবির বাণিজ্যে অদৃশ্য শক্তির হস্তক্ষেপে উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহার বদলির আদেশ স্থগিত হয়েছে। বার বার এই স্থগিতাদেশকে কেন্দ্র করে চট্রগ্রাম এলজিইডি ভবনে প্রকৌশলীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও আলোচনার ঝড় বইছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাঝে সমালোচনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, এই রনি সাহার নিজ জেলা চট্রগ্রামে এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামীদের সহযোগী হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই উপজেলায় কমিশন বানিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই।
বিগত বছর গুলোতে রনি সাহা আওয়ামী মতাদর্শী ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজশ করে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার হওয়া সত্বেও আওয়ামী লীগের সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও মোশারফ পন্থী ঠিকাদারদের বিল দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে রনি সাহার সহযোগীতা কাজ না করেও বিল প্রদানের কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া নিম্নমানের কাজ হওয়া সত্বেও রনি সাহা তৎকালীন ঠিকাদারদের আপ্যায়ন, অফিস খরচ ও খুশি করার নামে ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে ঠিকাদারদের কোটি কোটি টাকার বিল দেয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উঠেছে গত জুন মাসে সমাপ্ত প্লাট প্রকল্পে স্থানীয় আওয়ামীপন্থী ঠিকাদারদের যোগসাজশে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার কাজ না করে বিল উত্তোলন করার অভিযোগ রয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আলী ও মিরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহার বিরুদ্ধে।
পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ঐ সকল ঠিকাদাররা পালিয়ে গেলে। এখন দুর্নীতিবাজ রনি সাহা ও হাসান আলী বহালতবিয়ত আছে।
অভিযোগ গুলি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। চতুর উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহা গত আগষ্ট মাসের পর সব তথ্য গোপন করেছেন বলে স্থানীয় ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন।
অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সম্পাদিত এবং চলমান কাজ সমূহের বিষয়ে তথ্য যানতে চাইলে গত কয়েক দিন যাবৎ প্রকৌশলী রনি সাহা মোবাইল ফোন কল রিসিভ করেননি কোন উত্তর দেননি।
গত ৫ আগস্ট-২০২৪ ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় প্রভাবশালী ঠিকাদারদের সেল্টারে প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজশে আওয়ামীলীগ আমলের মতো ঠিকাদাররা নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করা সত্ত্বেও আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিল পাস করছে।
মিরসরাই স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কার্য্যালয় হইতে গত দুই মাসে দুই বার তাকে অন্যত্র বদলী করা হলেও রনি সাহা অদৃশ্য প্রভাবশালী খুঁটির জোরে তদবিরের মাধ্যমে তার বদলীর আদেশ দুই বারই স্হগিত করে পূনরায় মিরসরাই উপজেলায় থেকে গেছে।
অনুসন্ধানে স্হানীয় কয়েকজন ঠিকাদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামীলীগের মতাদর্শী ঠিকাদারদের সাথে রনি সাহার ঠিকাদারী কাজের যৌথ ব্যবসা থাকায় এই উপজেলা থেকে তিনি অন্যত্র যেতে অনিচ্ছুক বলে তিনি সর্বোচ্চ তদবির চালিয়ে বার বার বদলির আদেশ স্থগিত করেছেন।
স্থানীয় লোকজন তাদের বক্তব্যে বলেন বৈষম্য দুর করার লক্ষ্যে এতো আন্দোলন সংগ্রাম করে দেশে সকল সেক্টরে রদবদল হলেও মিরসরাই এখনো কিভাবে ফ্যাসিস্টের মদদপুষ্ট স্ব-পদে একেই জায়গায় বহাল থাকছেই।
এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
এছাড়া ও চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি উপজেলায় এখনো কর্মরত আছেন ফ্যাসিস্টের দোসর হাসিনার দালালদের দৌরাত্ম ও ভারতের প্রতিনিধি গাড়ি আছে এমন এলজিইডি প্রকৌশলী বহালতবিয়ত আছে তারা হল ফটিকছড়ি উপজেলায় তন্ময় নাথ, পটিয়া কমল কান্তি পাল, সাতকানিয়া সবুজ কুমার দে, হাটহাজারি জয়শ্রী দে,, মিরসরাই রনি সাহা, নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আলী সহযোগিতায় ফ্যাসিস্ট এর দোসর বহালতবিয়ত আছে।
গত জুনে সমাপ্ত প্লাট প্রকল্পের প্রায় পাঁচ কোটি টাকার কাজ না করে বিল উত্তোলন করা হয়।
আওয়ামীলীগের ঐ সকল ঠিকাদার পালিয়ে গেল ভুয়া বিল পাস করিয়ে কমিশন হাতিয়ে নেয়া আমিনুল ইসলাম উপ-সহকারী প্রকৌশলী।
প্রকৌশলী মিরসরাই এ ১৮ বছর বহাল তবিয়তে আছেন। তিনি পতিত সরকারের ধারক বাহক ঠিকাদারের কমিশন এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।