বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কুমিল্লা-১০ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, “যারা হাজারো ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে, লক্ষ জনতাকে আহত করেছে, বিভিন্ন সময়ে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, ধর্মীয় মাহফিলে ১৪৪ ধারা জারি করেছে তারা এই দেশে আর রাজনীতি করতে পারে না।

জামায়াতে ইসলামী নতুন এক বাংলাদেশ তৈরি করতে চায়। যেই বাংলাদেশে আমার কৃষক, আমার শ্রমিক, আমার ব্যবসায়ী, আমার তাঁতী, আমার মজুর প্রত্যেকে তার অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে। কাউকে কোনো ধরনের চাঁদা দিতে হবে না।

স্বাধীনতার পর থেকে দেখেছি যার মামা আছে, খালু আছে সে সরকারি চাকরি পেত। কিন্তু নতুন বাংলাদেশে কৃষকের ছেলেও যদি মেধাবী হয় সে কোনো টাকা ছাড়া, মামা-খালু ছাড়া সরকারি চাকরি পাবে।

এই লক্ষ্যেই জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াত ইসলামী একটি দুর্নীতিমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

৫৩ বছরে এদেশের জনগণ বহু রাজনৈতিক দলের শাসন দেখেছে এইবার তারা সৎ নেতৃত্বের জন্য জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।

আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত মুসলমানদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে।

নতুন করে তারা গায়ে পড়ে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে জড়াচ্ছে। আমরা শান্তি চাই, মুসলমানদের ভারতে নিরাপত্তার গ্যারান্টি চাই। এদেশে মুসলমানদের মসজিদ যদি পাহারা দেওয়া না লাগে, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে অমুসলিমদের মন্দিরও পাহারা দেওয়া লাগবে না।

এদেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়, সকলেই তার অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে।

ভোটের সময়ে পাঁচশো কিংবা এক হাজার টাকার বিনিময়ে নিজের মূল্যবান ভোটটা বিক্রি করবেন না। না হয় ওরা ক্ষমতায় গিয়ে আপনার উপরই চাঁদাবাজি করবে।”

শুক্রবার (৯ মে) সকালে কুমিল্লা লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়ন জামায়াতের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, “আমাদের মা-বোনদের বলা হয় জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীদের আটকে রাখা হবে।

এটা জামায়াতে ইসলামী কখনোই করবে না। জামায়াতের নারী নেতৃত্বই প্রমাণ করে আমরা ক্ষমতায় গেলে নারীরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না। নারীরা নিরাপদে তাদের অধিকার উপভোগ করতে পারবে।

ইভটিজিংয়ের শিকার হবে না। সুতরাং আগামীদিনে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নাই।”

এ-সময় আরো বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ড. সৈয়দ একেএম সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, জেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক গোলাম সারওয়ার কামাল মজুমদার, লালমাই উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. আবদুন নূর, সেক্রেটারী ইমাম হোসাইন, কুমিল্লা  মহানগর ছাত্র শিবিরের সভাপতি হাসান আহমেদ, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি কামাল হোসাইন, উপজেলা মজলিসে শূরা সদস্য মাও. ইসমাইল হোসাইন, বাকই উত্তর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাও. মোতালেব হোসাইন ও সেক্রেটারী ইব্রাহিম খলিল।