সোমবার , ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোঃ শিবলী সাদিক, রাজশাহীঃ
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাব ১২ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রাত ৮টায় পাবনার মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে ওই নারী চিকিৎসককে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় অপহরণকারী তানজিম খান তাজ (৩০), অপহরণে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের চালক আশরাফুল (৩৫) এবং মূল অপহরণকারীর সহযোগী সজীবকে (২৩) আটক করা হয়।
গত সোমবার ভোরে রাজশাহী চন্দ্রীমা থানার চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে ওই নারী চিকিৎসক ও তার বাবাকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া যায়।
সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের পাশে অচেতন অবস্থায় বাবাকে ফেলে গেলেও নিখোঁজ ছিলেন ওই চিকিৎসক।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বাবাকে বেঁধে এবং মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে চিকিৎসক মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ৬ জনের একটি দল।
অপহরণের শিকার চিকিৎসকের মা জানান, ফজরের নামাজ পড়ার জন্য তাঁর স্বামী মসজিদে যাচ্ছিলেন, এ সময় অপহরণকারীরা তাঁর স্বামীকে জিম্মি করে বাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে। এরপর বাবা ও মেয়েকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়।
পরে সিরাজগঞ্জে তাঁর স্বামীকে অচেতন অবস্থায় মহাসড়কের পাশে ফেলে যায়।
এই নারী চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘অপহরণকারী ৬ জনের মধ্যে একজন ছিল তানজিম খান ওরফে রোশন আলম। সে কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো আওয়ামী লীগ নেতা আবার কখনো ফজলে নূর তাপসের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিত। ২০১৮ সালে মেয়ের সঙ্গে তানজিমের পরিচয়। প্রায়ই বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করত। কখনো পথরোধ করত। কখনো স্ত্রী বলে দাবি করত। তবে তানজিম মূলত প্রতারক।
এ নিয়ে চলতি বছর চন্দ্রিমা থানায় অভিযোগ করলে মুচলেকাও দেয় তানজিম।’
অপহরণের ঘটনায় ওই চিকিৎসকের বাবা বাদী হয়ে চন্দ্রিমা থানায় ২ জনের নামসহ ও অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।