বুধবার , ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তাবারক হোসেন আজাদ, লক্ষ্মীপুরঃ
সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধার পর থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানা ও রামগন্জ থানা পুলিশ শূন্য।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত রায়পুর থানায় একজন পুলিশ সদস্যকে দেখা গেলেও রামগন্জ থানায় ছিলো না। একই সময়ে জেলার দুই থানা পুলিশের মালঘার থেকে অস্র এবং সরঞ্জমাদি সহ পুরো থানা জালিয়ে দেয়া হয়েছে।।
অপরদিকে, রামগন্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসসহ উপজেলা চেয়ারম্যান, দুই ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়, ১০টি সরকারি অফিস ও আ’লীগের কার্যালয় ভাংচুর করা হয়েছে।
পরে দ্রুত নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) উদ্ধার করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৌঁছে দেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন খবরে সোমবার দুপুর থেকে (৫ আগষ্ট) শত শত মানুষ রায়পুর উপজেলা শহরে অবস্থান নিয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন।
বিকেলে কয়েক হাজার মানুষ ট্রাফিক মোড়ে রায়পুর ট্রাফিক পুলিশ বক্সসহ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করে উল্লাস করেছেন।
সন্ধ্যার দিকে রায়পুর থানা গেইট ভেঙে ভেতরে মানুষ প্রবেশ করে থানা ভাঙচুর, পুলিশের দুটি গাড়ি, ৮ টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। অস্র ও আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ পুলিশের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় থানা ভবনের ভিতর থেকে ওসিসহ সকল পুলিশ অফিসার পিছনের দেয়াল টপকেপালিয়ে যান।
পুলিশের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় রামগন্জ থানায়ও।
মঙ্গলবার ১১টার দিকে পরিবেশ অনেকটা স্বাভাবিক হলে ভবনের ভেতর থেকে রায়পুর থানায় ১ পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকে দেখা গেলেও রামগন্জ থানায় এরিপোট লেখা পর্যন্ত কোন পুলিশকে দেখা যায়নি। এরপর থেকে পুলিশ শূন্য রয়েছে রায়পুর ও রামগন্জ থানা।
মঙ্গলবার সকাল ৪টায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রায়পুর ও রামগন্জ থানায় পৃথক সময়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
রায়পুর ও রামগন্জ থানা ভবনের সামনে পুড়িয়ে দেওয়া গাড়ি গুলো পরে রয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা কাচসহ ইটের টুকরো।
পুলিশ অফিসারদের থাকার রুম গুলোতে আগুন দেয়া ও সবকিছু তছনছ করা।
এ ছাড়া আওয়ামীলীগ নেতাদের বাড়িসহ বেশ কিছু স্থাপনা হামলা চালিয়ে ভাঙচুরকরে দুর্বৃত্ত।
রায়পুর থানা ওসি মাহবুবুর রহমান ও রামগন্জ থানার ওসি সোলায়মান বলেন, সোমবার সন্ধার পরে অজ্ঞাত শতাধিক ব্যাক্তি থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে লুটপাট করে,। রাতেই থানা থেকে সবাই চলে পুলিশ লাইনে আসছি।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান খান বলেন, ‘ উপজেলায় কোন অফিস ভাংচুর হয়নি।
বিকাল চারটায় নাশকতা রোধে বিকালে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছি ।
তারাও আশস্ত করেছেন সহযোগিতা করবেন। ’
রামগন্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন ইসলাম বলেন, আমার অফিস ও উপজেলা চেয়ারম্যাম, দুই ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়সহ ১০টি সরকারি অফিস ভাংচুর করা হয়েছে।
পরে সেনাবাহিনী আমাকে উদ্ধার করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।