শুক্রবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তাবারক হোসেন আজাদ, লক্ষ্মীপুরঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আনারস প্রার্থীর পক্ষে আনন্দ মিছিল শেষে চরবংশী গ্রামে চা দোকানের সবুজ ও বকুল নামের দুই আ’লী কর্মীর মধ্যে সিগারেট চাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছো।
এসময় নুরনবি নামের আ’লীগের এক কর্মীর মাথা কুপাঘাতসহ ৮ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে-ওই দুই কর্মীর মধ্যকার মারামারি থামাতে গিয়ে জামিল খান নামের এক আওয়ামীলীগ নেতা নীজের শর্টগান দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন।
এসময় তিনি অসুস্থ্য হয়ে ঘটনাস্থলেই স্ট্রোক করে অসুস্থ্য হোন। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে রায়পুর শহরে পরে ঢাকায় একটি হাসপাতালে নেওয়া পথে মারা যান।
অন্যদিকে মাথায় গুরুতর আহত নুর নবিকে (৪০) ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রস্তুতি চলছে। মৃত জামিল খান (৫৭) উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউপির তালতলা এলাকার মৃত শওকত আলী খানের ছেলে এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।
ঘটনাটি বুধবার রাতে প্রকাশ হওয়ায় রায়পুরে নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ( ২১ মে) রাত ৮টায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউপির ২নং ওয়ার্ডের খান বাড়ীর সামনে আবুল কাশেম খানের চা দোকানের সামনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সন্ধায় আনারস প্রতীকের প্রাার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ বিজয়ী ঘোষনা করে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এ ঘোষনার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ মিছিল নিয়ে হায়দরগন্জ বাজারে বিটিএমএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকনের বাড়ীতে যায় নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে উত্তর চরবংশী ইউপির তালতলা বাজার এলাকায় খান বাড়ীর সামনে অবস্থান নেয় ওই এলাকার নেতাকর্মীরা।
এসময় আবুল কাশেমের চা দোকানে স্থানীয় আ’লীগ কর্মী সবুজ তার সিনিয়র নেতা বকুলের কাছে ১টা সিগারেট চায়।
এনিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়। তার মধ্যে আ’লীগ কর্মী নুরনবির মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে সে মাটিতে লুটে পড়ে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে রায়পুর হাসপাতাল পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় একটি হাসপাতাল পাঠানো হয়।
এসময় দুই পক্ষকে বাধা দিতে আ’লীগ নেতা জামিল খান তার ব্যাবহ্রত বন্দুক দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন।
এসময় তিনি হ্রদযন্ত্র ক্রীয়া বন্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়লে তাকেও উদ্ধার করে রায়পুর সেবা হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান। তবে তার ব্যাবহত লাইসেন্স প্রাপ্ত দুটি অস্র এখনো থানায় জমা দেয়া হয়নি।
স্থানীয় চা দোকানদার আবুল কাশেম (৬০) বলেন, আনারস প্রার্থীর পক্ষে আনন্দ মিছিল শেষে আমার চা দোকানের সামনে এসে অবস্থান নেয় সবুজ মাঝি ও একই এলাকার বকুল সর্দারসহ কয়েকজন।
এসময় সবুজ বকুলের কাছে সিগারেট চায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বকুল সবুজকে একটা থাপ্পর মারে। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি একপর্য সংঘর্ষ হয়।
এসময় এদেরকে থামাতে আ’লীগ নেতা জামিল খান তার বন্ধুক উপরে তাক করে ভয় দেখান। এসময় তিনি জোড়ে চিৎকার দেওয়ায় অসুস্থ্য হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন।
এ ঘটনায় নিহত জামিল খানের স্ত্রী জোসনা আহাম্মেদ বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়িনা। দুই পক্ষের মারামারি থামাতে গিয়ে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তার কাছে দুটি অস্র থাকার বিসয়ে পল্টন থানা পুলিয় অবগত আছেন।
এ বিষয়ে রায়পুর থানা পুলিশকে জানানো হবে। এ ঘটনায় রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুখ মজুমদার বলেন, আনারসের প্রার্থীর বিজয়ে আনন্দ মিছিল শেষে স্ট্রোক করে আ’লীগ নেতা জামিল খানের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকালে এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরীর ও আমিসহ সবাই জানাজা শেষে দাফন করে থানায় এসেছি। তবে মারামারি ও ফাঁকা গুলি ছোড়া এসব বিষয় তো কিছুই জানিনা। খোঁজখবর নিয়ে ব্যাবস্থা নিয়ে ব্যাবস্থা নিব।
রাজশাহীতে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের গুরুত্ব শীর্ষক সেমিনার