শনিবার , ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তাবারক হোসেন আজাদ, রায়পুরঃ
লক্ষ্মীপুরেে রায়পুর উপজেলা বিএনপি সদস্য ও সমাজসেবক ফারুক কবিরাজের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার বিকালে (১১ এপ্রিল) ফারুক কবিরাজের নিজ গ্রাম উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজার এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এ সময় উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের জামায়াতের সেক্রেটারি কাজি মোঃ এমরান হোসেন, ফারুক কবিরাজের চাচা গ্রামবাসী ইউনুস কবিরাজ (৭৪), ইব্রাহিম কবিরাজ (৬৫), দূদূ মিয়া কবিরাজ (৫৭), মোঃ আলী জিন্নাহ কবিরাজ, (৬০), মোঃ মিজান (৪৮) ও মোঃ জাহাঙ্গির (৩৮) সহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
ফারুক কবিরাজ উপজেলার বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য। উত্তর চরবংশী ইউপির খাসেরহাট জামে মসজিদের সভাপতি ও চরবংশী জয়নালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী জানা গেছে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নাজমুল ইসলমা মিঠু বলেন, স্পেন প্রবাসী নিহতের ঘটনায় সময় ফারুক কবিরাজ উপস্থিত ছিলেন না বলে আমরা জানতে পেরেছি। বিষয়টি জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দুকে বলা হয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানান, বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজ বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী ।
এছাড়া জুলাই-আগস্ট বিল্পবে নিজের জীবন বাজি রেখে ঢাকার সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
৪ আগষ্টের পর থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা সমাবেশসহ দলীয় কর্মকার্ন্ডে সক্রিয় ছিলেন। এতে হিংসাত্নক হয়ে চরবংশীর সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গাজি ও উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শামিম গাজিসহ তাদের লোকজন মেঘনার চরে জমি ও মাছঘাট দখলসহ আধিপত্য বিস্তার শুরু।
এতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান ফারক কবিরাজসহ বিএনপি কর্মীরা।
গত সোমবার শিক্ষানুরাগী ফারক কবিরাজ স্থানীয় চরবংশী জয়নালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এসময়ে তার কাছে ফোন আসে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রতিবাদ করা নিয়ে ভাই মেহেদীসহ দুই পক্ষের সংঘর্ষে স্পেন প্রবাসী যুবদল কর্মী সাইজুদ্দিন দেওয়ান নিহত হয় এবং অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়।
বেড়িবাঁধ ও খাসেরহাট বাজারে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নিহতের স্বজন ও কৃষকদলের শামিম গাজির লোকজন ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন।
যুবদল কর্মী সাইজুদ্দিন দেওয়ান (৪৫) নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাত ১২টায় তাঁর বড় ভাই বিএনপির কর্মী হানিফ দেওয়ান বাদী হয়ে ফারক কবিরাজ ও তার ভাই মেহেদী কবিরাজসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত ১৮৬ নামে রায়পুর থানায় মামলাটি করেছেন।
এছাড়াও ফারুক ছাড়া উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৬ জন নেতা-কর্মীকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
মামলায় রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ফারুক কবিরাজকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তাঁর ছোট ভাই মেহেদী কবিরাজসহ ২৬ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ১৬ জনকে।