শুক্রবার , ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তাবারক হোসেন আজাদ, ,লক্ষ্মীপুরঃ
শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ১২টি স্থান ও গ্রামে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। শেষে রোববার বিকালে মেঘনা নদী সংলগ্ন ৮টি মাছঘাট দখলে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
সোমবার চরবংশীর ব্যাবসায়ী জাকির হোসেন মোল্লা তার অধিনস্ত বেদখল হওয়া হাজিমারা মাছ ঘাট ফিরে পেতে সাংবাদিক ও রায়পুরের সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেছেন।
সরজমিন ঘুরে দেখাযায়, রায়পুর পৌরসভার পশ্চিম কাঞ্চনপুর গ্রামের চাকলাদার বাড়ীর দুবাই প্রবাসী মোঃ নওশাদের বসতঘর ভাংচুর চালিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়।
উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আলীগ নেতা আবু তাহের মেম্বারকে পিটিয়ে আহত করে তার বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় । তার তিন ছেলের বসতঘরেও হামলা, পুত্রবধুদের এবং প্রবাসী খোরশেদ আলমের শিশু ছেলেকেও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
একই এলাকার ওমান প্রবাসী খোরশেদ আলমের টিনের ঘর আগুন দিয়ে সম্পুর্ন ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
এতে তার প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতি এবং লুটপাট করে-স্বর্ণ দুই ভরি, নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
ডুবাই প্রবাসী আনোয়ার হোসেন সবুজ ও ইব্রাহীমের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে ৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ দেড়লাখ টাকা লুট করা হয়েছে।
আবু তাহের মেম্বার জানান, আমরা এখন বাড়ি ছাড়া। স্বপন কবিরাজ, তামজীদ কবিরাজ, জহির আহমেদ, বেলাল, মিজান, মনির হাজী নেতৃত্বে এই লুটপাট ও হামলা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত জহির বলেন, সাবেক মেম্বার আবু তাহেরের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ আছে। আমরা এই হামলার সাথে জড়িত নয়।
এছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলের উত্তর ও দক্ষিন চরবংশী ও চরআবাবিল ইউপির মেঘনা নদী সংযোগ ৮টি মাছঘাট দখলে নিয়েছে প্রতিপক্ষ। কোন কোন নেতা ঘাট ফিরে পেতে সাংবাদিক ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেছেন।
রায়পুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান খান বলেন, আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৬দিনে রায়পুরে থানা ভাবন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্র- লুটপাট সহ আওয়ামীলীগের নেতা ও কর্মীদের বাসাবাড়ী, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস, দলীয় কার্যালয় অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করা হয়েছে।
গত সাত দিনে থানায় লুট হওয়া ১৪টি অস্র উদ্ধার করে জেলা আনসার কমাডেন্ট সোহাগ পারভেজ রায়পুরে সেনাকর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন।