বুধবার , ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
কোভিড মহামারী পরিস্থিতিতেও থামার কোন লক্ষণ নেই। ঈদের দিনও প্রকল্পের কাজ চলমান ছিল, শিডিউল অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রায় ৩৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এদিকে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রথম ইউনিটে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পারমাণবিক চুল্লি বসানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করছেন প্রকল্প পরিচালক ড. শওকত আকবর।
প্রকল্প পরিচালক ড. শওকত আকবর সিডিউল অনুযায়ী নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে জানিয়ে বলেন, দ্বিতীয় ইউনিটের রিয়্যাক্ট পাওয়ার ভেসেলে চলতি মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশের জল সীমানায় এসে পৌঁছাবে। প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৩৭ ভাগ এবং প্লান্টের কনসট্রাকশন ৩৮.৬৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর ভবনের নির্মান কাজ ভূপৃষ্ঠের তলদেশে মাইনাস ৮.৪৫ মিটার থেকে মাইনাস ৫.৪৫ মিটার পর্যন্ত ঢালাইসহ ৩০ মিটার কাজ সম্পন্নের পর উপরিভাগের কাজ চলছে। উপরিভাগের কাজ চলতি মাসের শেষে ৬১ মিটার পর্যন্ত উন্নিত হবে।
তিনি আরও জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিনে প্রতিদিন ২৫-৩০ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে বিশেষ ভাবে নজর রাখা হচ্ছে। দিনে দুবার প্রত্যেক শ্রমিককে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। টিকা ও চিকিৎসা সহায়তার পাশাপাশি গ্রীণসিটিতে আইসলেশন সেন্টারও খোলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রকল্পের সাইট ডিরেক্টর প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম গত ২১ জুলাই ঈদের দিনেও প্রকল্পের কাজ বন্ধ ছিল না জানিয়ে বলেন, ঈদের দিন প্রথম ইউনিটে দুটি হাইড্রো অ্যাকুমুলেটর সংস্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে ২৪ জুলাই ১ম ইউনিটের রিয়্যাক্টর ভবনের ডোমের লোয়ার পার্ট স্থাপন করার ফলে এখন ইনার কনটেইনমেন্ট ওয়ালের উপরিভাগের উচ্চতা ৪৪ মিটার হতে ৫১.৭ মিটারে উন্নিত হয়েছে।
রুশ নকশা অনুযায়ী দেশের প্রথম ও বৃহত্তর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ঈশ্বরদীর রূপপুরে থার্ড প্লাস জেনারেশনের ভিভিআর ১২০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিটের নির্মাণ কাজ একযোগে এগিয়ে চলেছে। ২০২৩ সালে ইউনিট-১ এবং ২০২৪ সালে ইউনিট-২ থেকে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের কথা রয়েছে।