শুক্রবার , ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তাবারক আজাদ, লক্ষ্মীপুরঃ
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিক কারও নাম পরিচয় জানা যায়নি।
আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়। শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের তমিজ মার্কেট এলাকা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর শহরের বাসার সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানায়, শহরের চকবাজার জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে সাবেক জেলা যুবলীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহ্ উদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২০-৩০ জন নেতা-কর্মীরা বাজার সড়কে অবস্থান নেয়। এসময় তারা জয় বাংলা শ্লোগান দিতে থাকে।
একই সাথে নামাজ শেষে সাধারণ মুসল্লীদের নিজ নিজ গন্তব্যে সরে যেতে আহ্বান করে। তবে এসময় শহরের বিভিন্ন দোকান ও গলিমুখে আন্দোলনকারীদের বিক্ষিপ্ত অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাদেরকেও সরে যেতে অনুরোধ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের অনুরোধে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরাও সরে গিয়ে তমিজ মার্কেট এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনে অবস্থান নেয়।
এদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মিছিল শেষেই কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীরা বাজার ব্রিজ থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়।
মিছিলটি চকবাজার মসজিদের সামনে গেলেই শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান শুরু করে। উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসার সামনে গেলে মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে। এতে পুলিশের বাধা ভেঙে লাঠিসোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
তারাও শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল ছোঁড়ে। এতে দুইপক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আন্দোলনকারী ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ সহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে সতর্ক অবস্থান নেয়। ঘটনার পর শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এবি ছিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর শান্ত ছিল। সম্পুর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানের উস্কানিতেই ঘটনাটি ঘটেছে।
উনি নেতাকর্মীদের নিয়ে এখানে অবস্থান না নিলে ইট মারার পরিস্থিতি হতো না। আমাদের উপস্থিতিতে তারা এখানে অবস্থান নেবে কেন ? আমরা যদি আ’ লীগের লোকজনকে ভেতরে না রাখতাম এতে লক্ষ্মীপুরে আগুনলেগে যেত।