লাকসাম প্রতিনিধিঃ
দৈনিক যুগান্তর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কথা বলে, যুগান্তর মানুষের মাঝে দেশপ্রেমের প্রেরণা জোগায়। পত্রিকাটি সৃষ্টিলগ্ন থেকেই দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছে।
বুধবার দুপুরে লাকসাম পৌর অডিটোরিয়ামে তৃতীয় তলায় যুগান্তরের রজতজয়ন্তী উৎসবের শুরুতে সাংবাদিক শহীদুল ইসলামের কোরান তেলওয়াতের শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্যে এসব কথা বলে বক্তারা।
১৯ ফেব্রুয়ারী রোজ বুধবার দুপুরে লাকসাম পৌর অডিটোরিয়ামে তৃতীয় তলায় যুগান্তরের রজতজয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এতে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভার বিশিষ্টজনরা যুগান্তরের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে লাকসাম পৌর অডিটোরিয়ামে ছুটে আসেন। বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল, যুবদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এছাড়া মাদকবিরোধী সংগঠন, আইনজীবী, চিকিৎসক, কবি ও সাহিত্যিকসহ নানা পেশার লোকজন পৌর অডিটোরিয়ামে এসে যুগান্তরের রজতজয়ন্তীতে অংশগ্রহণ করেন।
পরে কেক কেটে রজতজয়ন্তী উদযাপন করা হয়। সবশেষ যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে তারা আরও বলেন, যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। দৈনিক যুগান্তরের মতো একটি নিরপেক্ষ পত্রিকা প্রকাশ করে দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছেন। যুগান্তর অত্যন্ত দায়িত্বশীল লেখনীর মাধ্যমে দেশের মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে। একটা পত্রিকা টানা ২৫ বছর সাফল্য ধরে রাখা সহজ বিষয় নয়। যুগান্তর নিরপেক্ষতা বজায় রাখার কারণে তা সম্ভব হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে মানুষের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যুগান্তর দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এবারের রজতজয়ন্তী উৎসবে সম্পৃক্ত হতে পেরে ধন্য মনে করছি। নতুন সম্পাদক কবি আব্দুল হাই শিকদারের হাত ধরে যুগান্তর আরও সমৃদ্ধ গণমাধ্যমে রূপান্তর হবে।
লাকসাম-মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি এম.এ মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শাহীনের সঞ্চালনায় রজতজয়ন্তী উৎসবের উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন স-সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলাম কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি ড.একেএম সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, বিশিষ্ট ব্যবসায়িক ও রাজনীতিবিদ গোলাম ফারুক, লাকসামে গুম হওয়ার বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির পারভেজের সন্তান শাহরিয়ার কবির রাতুল, মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিব সরোয়ার জাহান দোলন, লাকসাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল কদ্দুসসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মোশাররফ হোসেন মশু, আবদুর রহিম, খোরশেদ আলম, হারুন রশীদ, টি আর হারুন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জ দুই উপজেলার কর্মরত সাংবাদিক।