বুধবার , ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
লাকসাম প্রতিনিধিঃ
লাকসাম উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল সকালে আনন্দ শোভাযাত্রা, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পান্তা ইলিশ খাওয়া ও সপ্তাহ ব্যাপি বৈশাখী ও লোকজ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলা পরিষদের নতুন অডিটরিয়ামে জাতীয় সংগীত ও বৈশাখী গানের মাধ্যমে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদ, লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নাজিয়া বিনতে আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিফাতুন নাহার, লাকসাম থানার অফিসার্স ইনচার্জ নাজনিন সুলতানাসহ সরকারি কর্মকর্তাগণের নেতৃত্বে এই আনন্দ শোভাযাত্রায় বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি আনন্দ দায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে।
এছাড়াও লাকসাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আবদুল কুদ্দুস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান দুলাল, প্রেসক্লাবের বর্তমান আহবায়ক মনির আহমেদ, সদস্য সচিব ফারুক আল-শারাহ, লাকসাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, সহ-সভাপতি আহসান উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম চৌধুরী হীরাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন, যেখানে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা লেখা ছিল। অনেকেই আবার গ্রামীণ পোশাকে নিজেদেরকে উপস্থাপন করেন।
এছাড়াও, লোকনৃত্য ও ঐতিহ্যবাহী সাজসজ্জার মাধ্যমে বর্ষবরণের আনন্দ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ঢাক-ঢোলের বাদ্যি এবং বিভিন্ন লোকসংগীতের সুরে সুরে স্থানীয় পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
এই আনন্দমুখর শোভাযাত্রা বাংলা নববর্ষের আগমনকে আরও বেশি উৎসবমুখর এবং আনন্দময় করে তুলেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদ সাংবাদিকদের জানান, পহেলা বৈশাখ বাঙালির জীবনে এক নতুন আশা ও উদ্দীপনা নিয়ে আসে।
আজকের এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, লোকজ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। আমরা সকলে মিলেমিশে এই দিনটিকে উদযাপন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।