বুধবার , ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
লাকসাম প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার লাকসামে মাদ্রাসা ছাত্রী সামিয়া হত্যাকান্ডের অভিযোগ অনুসন্ধানরত সংবাদকর্মীদের লক্ষ্য করে লাগাতার অশালীন অশোভন মন্তব্যের জেরে মানববন্ধন কর্মসূচীতে ঘোষিত ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটামের শেষ হয়ে গেছে আজ ২৫ এপ্রিল শুক্রবার।
আলটিমেটামকে তোয়াক্কা না করে জাফরিকে গ্রেফতারের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না লাকসাম থানা পুলিশ।
জাফরির খুঁটির জোর কোথায় জানতে চায় সাধারণ মানুষ।
গত ২৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় লাকসামের সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিকদেরকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস্টবিন থেকে বেঁচে ফেরা নবজাতকের সাথে তুলনা করার প্রতিবাদে ইকরা মাদ্রাসার পরিচালক আজিজুলের জামাতা মঈনুল ইসলাম জাফরিকে ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতারের সময় বেধে দেয় দেয়া হয়।
আজ ২৫ এপ্রিল সাংবাদিকদের সংগঠন প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিগন লাকসাম থানায় বিষয়টির অগ্রগতি জানতে গেলে গাফিলতি দেখতে পেয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে।
অনতিবিলম্বে অপরাধীকে গ্রেফতার না করলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন সাংবাদিকরা। সংবাদকর্মীরা সামিয়া মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের অগ্রগতি জানতে চাইলে পুলিশ কর্তৃপক্ষ কাজের সিংহভাগ এগিয়েছে বলে জানান।
উল্লেখ্য গত ১৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার ইকরা মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে সামিয়া নামক এক শিক্ষার্থীর (১৩) মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে লাকসামের ইক্বরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
বিপরীতে সামিয়ার মা, দাদা ও মামা সে দাবি প্রত্যাক্ষান করে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করে।
উক্ত ঘটনা অনুসন্ধানরত সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয় মাদ্রাসা প্রধান জামাল উদ্দিন এবং মাদ্রাসার পরিচালক আজিজুল ইসলাম এর জামাতা মইনুল ইসলাম জাফরি সাংবাদিক, সুশিল সমাজ ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় কটুক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করে।
এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে সাংবাদিক সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের শ্রেণি-পেশার মানুষ।