সোমবার , ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লাকসাম প্রতিনিধিঃ
লাকসাম পৌরসভার সাবেক মেয়র সহকারী অধ্যাপক আবুল খায়ের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় বেতন ভাতা বন্ধসহ কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা ৭ দিনের মধ্যে তার জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ভোলাইনবাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কতৃপক্ষ।
১১ নভেম্বর ২৪ ইং তারিখে ভোওক ০০১/১১/২৪ নং স্মারকে ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠান কলেজ অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন আহমেদ। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর পালিয়ে যায় নাঙ্গলকোট উপজেলার ভোলাইনবাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও লাকসাম পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল খায়ের।
রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে প্রেরিত উক্ত চিঠি কেউ রিসিভ না করায় ফেরত গিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে।
সুত্র জানিয়েছে ১৯৯৫ সাল থেকে উক্ত কলেজে চাকরি করে আসছে মোঃ আবুল খায়ের।
চাকুরীতে থাকাবস্থায় তিনি লাকসাম পৌরসভায় আওয়ামীলীগের মেয়র নির্বাচিত হয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সাল থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত পর্যন্ত তিনি লাকসাম পৌরসভায় মেয়র পদে কর্মরত ছিলেন।
৫ আগষ্ট থেকে ১৮ আগষ্ট পর্যন্ত পলাতক থাকায় ১৯ আগষ্ট লাকসাম পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ হয়। একই সময়ে একই ব্যক্তি দুইটি লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
৫ আগষ্ট পট পরিবর্তনের পর থেকে পালিয়ে আছেন লাকসাম পৌরসভার সাবেক মেয়র ও ভোলইন বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ইসলামী ষ্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল খায়ের।
সুত্র আরও জানায় গত সরকারের আমলে সহকারী অধ্যাপক থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের অধিনে নির্বাচনে সিলেক্টেড মেয়র হয়ে লাকসাম পৌরসভার দায়িত্ব নেন আবুল খায়ের। তার পর থেকেই তিনি কলেজে পাঠদান করেননি।
সব সময় পৌরসভা ও রাজনৈতিক কাজে ব্যাস্ত থাকার ভিতরে প্রতি মাসে গায়েবি উপস্থিতি রয়েছে কলেজের হাজিরা খাতায়। বেতন চলে গিয়েছে একাউন্টে। সেবা দিয়েছেন লাকসাম পৌরসভায় কিন্তু বেতন নিয়েছেন ভোলাইন বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে। বছরের পর বছর কলেজে পাঠদান না করে হাজিরা খাতায় কিভাবে স্বাক্ষর করেছেন ও বেতন ভাতা নিয়েছেন এব্যাপারে রয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।
একজন সহকারী অধ্যাপক কিভাবে ক্লাস না করে তার বেতন নিয়মিত পেতেন এবং তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কিভাবে স্কুলের উপস্থিতি স্বাক্ষর করেছেন এবিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই বেতন ভাতা দেওয়া হয়েছে এবং মাঝে মধ্যে আবুল খায়ের এসে স্বাক্ষর দিয়ে যেতেন।