বুধবার , ১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোস্তফা কামাল মজুমদার, লালমাইঃ
ছোট শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব ও উত্তর পাশে চোখে পড়ার মতোভাবে জমে রয়েছে নানান ধরনের আবর্জনা ও নোংরা জিনিসপত্র। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। পুরো এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে অস্বাস্থ্যকর ও অমানবিক পরিবেশ।
সাংবাদিক হিসেবে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখি, বিদ্যালয়ের ঠিক সীমানাঘেঁষে জমে থাকা আবর্জনার স্তূপের কারণে সেখানকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে দুর্গন্ধে। নোংরা পানিও জমে আছে কিছু জায়গায়, যা মশা, মাছি ও অন্যান্য জীবাণুবাহিত পোকামাকড়ের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। এতে করে শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
শিক্ষার পরিবেশ যেখানে পরিচ্ছন্ন, সুস্থ ও নিরাপদ হওয়া উচিত, সেখানে এমন অব্যবস্থাপনা ও অবহেলা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ অবস্থায় ক্লাস নেওয়া যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি মানসিকভাবেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে শিক্ষার্থীদের ওপর।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই—এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থানীয় অনেক শিশুর শিক্ষার মূল ভরসা। অথচ প্রতিষ্ঠানটির চারপাশে এমন নোংরা ও বর্জ্যপূর্ণ পরিবেশ তাদের ভবিষ্যতের প্রতি এক ধরনের চরম অবহেলা। অবিলম্বে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ গ্রহণ ও স্কুলসংলগ্ন এলাকায় নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম নিশ্চিত করা জরুরি।
একজন সচেতন সাংবাদিক হিসেবে আমি আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং বিদ্যালয় এলাকায় একটি সুস্থ, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে।