শনিবার , ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফজলুল করিম, শেরপুরঃ
শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের কাংশা ইউনিয়নের অন্তর্গত হালচাটি ও গান্ধিগাঁও এলাকার বিস্তীর্ণ বনভূমি এখন পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যাচ্ছে।
এতে করে জঙ্গলে বসবাস করা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী ও বনজ গুল্মলতা পুড়ে বনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঝিনাইগাতীর কাংশা ইউনিয়নের হালচাটি, গান্ধীগাঁও, গজনী বিট এলাকার বিস্তৃত বনে বাতাসের তোড়ে আগুন প্রবল বেগে ছড়িয়ে পড়ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কিছুদিনের মধ্যেই বনের গাছ নিলামে বিক্রি করা হবে।
বনের যে সমস্ত অংশী রয়েছেন তারাই কাজ কাটার সুবিধার্থে এ আগুন লাগিয়ে দেন।
বিষয়টি নিয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ এর সহকারী বন সংরক্ষক এস বি তানভীর আহমেদ ইমন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এখন শুকনো মৌসুমে শালপাতা খুবই শুষ্ক অবস্থায় বনে পড়ে স্তুপ হয়ে থাকে। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও গজনী অবকাশ এলাকায় টুরিস্টদের আনাগোনা বেশি। তারা যে বিড়ি বা সিগারেট খায় সেই আগুন থেকেই জঙ্গলে আগুনের সূত্রপাত ঘটছে।
আমি বিট অফিসারের কাছে শুনেছি ১০ থেকে ১৫ টি স্থানের আগুনের নিভানো হয়েছে। এছাড়া আমরা মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করবো যাতে তারা বিড়ি সিগারেট এর আগুন বনে না ফেলে।
আমাদের গার্ডরা আগুন নেভাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।তবে আমাদের কোন আগুন নেভানোর জন্য পর্যাপ্ত লোকবল ও সরঞ্জাম নেই। ” যেটুকু আছে তাই দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।
মীরসরাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বাজার মনিটরিং ও লিফলেট বিতরণ