শুক্রবার , ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এম, ইব্রাহিম খলিল, সীতাকুণ্ডঃ
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায় তৃতীয় দিনের মতো রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় কাজ করছে শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা।
টানা তিনদিন ধরে সড়কে ট্রাফিকের ভূমিকায় রয়েছেন শিক্ষার্থী, রোভার স্কাউটস, যুব রেড ক্রিসেন্ট, বিএনসিসি এবং আনসার সদস্যরা।
সীতাকুণ্ড পৌর সদর সড়কে নেই কোনো ট্রাফিক পুলিশ। এই অবস্থায় টানা তিনদিন ধরেই সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় রয়েছেন শিক্ষার্থী ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সীতাকুণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল সড়কে দেখা গেছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবীরা ট্রাফিকের ভূমিকায় সড়ক নিয়ন্ত্রণ করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।
রাস্তায় ফুটপাতে হাঁটা ও গণ পরিবহন গুলো নির্দিষ্ট স্থানে থামার নির্দেশনা দিচ্ছেন। নিয়ম মেনে চলতে মানুষ ও গাড়িচালকদের বাধ্য করছেন।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তারা মানুষকে নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখাচ্ছেন। দক্ষিণ বাইপাস মোড় কলেজ রোডের মোড় দায়িত্ব পালন করেন। রাস্তায় ডিবাইড তৈরি করে বাহির ও প্রবেশ করাচ্ছে যানবাহন।
বৃহস্পতিবার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কারণে গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যান্য সময়ে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও যানজট নিরসন হতো না। কিন্তু শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছা সেবীদের দায়িত্ব পালনে যানজট নেই বললেই চলে।
সীতাকুণ্ড বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা জানান, যতদিন না ট্রাফিক পুলিশ সড়কে আসবে আমরা রাস্তায় থাকবো। গাড়িগুলো যেন লাইন ধরে চলে সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবো।
এ দিকে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীদের কষ্টকর দায়িত্ব পালনের অবস্থা দেখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিশেষ প্রচারণা ছাড়াই তাদেরকে খাবার ও পানি সরবরাহ করছেন।