সুন্দরগঞ্জে ঘরঘেষে
গর্ত খননের অভিযোগ
আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের কালীরখামার গ্রামে বসতঘর ঘেষে গর্ত খনন করায় ঝুঁকিতে বসবাস করেছে একটি অসহায় পরিবার।
জানা যায়, ঐ গ্রামের মৃত আছর উদ্দিনের ছেলে আলম মিয়ার বসতঘর ঘেষে পশ্চিম পাশের জমিতে গর্ত খনন করেন প্রতিবেশী জয়নাল আবেদীন গং।
এতে আলম মিয়া, তার জামাই মোকছেদুল ও চাচাত ভাই আঃ মতিনের বৈদ্যুতিক সংযোগকৃত পৃথক বসতঘর, পারিবারিক টয়লেট, সীমানার ফল-ফলাদির গাছ গর্তের দিকে হেলে যায়।
বৃষ্টিতে সীমানার অবশিষ্টাংশ ধ্বসে গেলেও ঘরগুলোতে খুঁটি দিতে পশ্চিম পাশের জমিতে খননকৃত প্রতিহিংসামূলক গর্তের কারণে সম্ভব হচ্ছেনা। যে কোনো মূহুর্তেই টয়লেট, বসতঘরগুলো গর্তে পড়ে যাবার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
তা জানা সত্বেও পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘরগুলোতে বসবাস করছেন অসহায় পরিবারবর্গ। ইতঃমধ্যে আলম মিয়ার বসতবাড়ির সীমানার আমগাছ গর্তে পড়ে গেছে।
প্রতিবেশী জয়নাল আবেদীন গংয়ের বিরুদ্ধে অসহায় আলম মিয়া পরিবারের সদস্যরা বড় ধরণের ঝুঁকির শঙ্কা জেনেও ঘরে বসবাস করছেন।
ইতঃপূর্বে আলম মিয়া কঞ্চিবাড়ি ইউপি গ্রাম আদালতে জয়নাল আবেদীন গংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে গ্রাম আদালতের এখতিয়ার না হলেও স্থানীয়ভাবে সালিশী সভার মাধ্যমে সমাধানকল্পে সমনজারী করেন গ্রাম আদালত প্রধান ও ইউপি চেয়ারম্যান।
কিন্তু, প্রতিপক্ষগণ কোন প্রকার কাগজপত্র দাখিল বা উপস্থিত হননি। ফলে গ্রাম আদালতের পক্ষে উচ্চ আদালতে পরামর্শ নেয়ার জন্য প্রত্যয়নপত্র পদান করেন। যার স্মারক নং- ইউপি/কঞ্চি/সু/গাই/প্রত্য/৩৭০১/২৪, তাং- ১৯- ১০- ২০২৪ইং।
এব্যাপারে আলম মিয়া ও তার পরিবারবর্গ জানান, জয়নাল আবেদীন গং তাদের জমি বেশি করে ভোগ করছেন। তারপরও ঘরবাড়ির সীমানা ঘেষে গর্ত খনন করেছেন। যে কোন মুহূর্তই বড় ধরণের দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন তারা।
জয়নাল আবেদীন অসুস্থ্যতার জন্য চিকিৎসাধীন থাকায় তার ছেলে প্রভাষক আঃ মান্নান ওরফে মামুন’র সঙ্গে মোবাইলফোনে একাধিকবার কথা হলে তিনি উল্টো দাবী করে বলেন- ছোট্ট একটা আমগাছ পানের বরজে পড়েছে। বৃষ্টিতে মাটি ধ্বসে যাবার কারণে। আলম মিয়ার পরিবারের বাড়ির গাছপালার ডাল জমির উপরে এসেছে। তাই তাদের সীমানায় গর্ত খনন করার কথা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন- বেশি নয়; গর্তের গভীরতা হবে ৪-৫ ফুট পরিমাণ।
ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম আদালত প্রধান মনোয়ার আলম সরকার জানান, সমনজারীর পরও প্রতিপক্ষ (জয়নাল আবেদীন গং) উপস্থিত হননি বা কোন প্রকার কাগজপত্র দাখিল করেননি। ফলে সালিশ বা মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি।
https://www.songbadtoday.com/%e0%a6%ad%e0%a7%87%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%9c%e0%a6%b2%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%b2-%e0%a6%87%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be/
Post Views: ৫২