স্ত্রীর সামনে মেঘনায় তলিয়ে যাওয়া
স্বামী বরিশালে করছেন ব্যবসা
মানিক দাস, চাঁদপুরঃ
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে স্ত্রীর সামনে স্বামী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি ছিল স্ত্রীর একটি সাজানো নাটক।
কেননা এ নাটকের নায়ক জহিরুল ইসলাম (৩৫) বিভিন্ন সমিতি ও ব্যাংক থেকে মোটা অংকের টাকা ঋণ নিয়েছিল। আর এ ঋণ পরিশোধ না করতে পেরে স্ত্রীকে দিয়ে মেঘনা নদীর পানিতে ডুবে যাওয়ার এ কাল্পনিক নাটক সাজিয়ে জহিরুলের পরিবার ও স্হানীয় এলাকাবাসীকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
গত ১৯ জুন বুধবার রাতেই জহিরুল ইসলাম স্ত্রী মনিরা বেগমের সাথে শলা পরামর্শ করে টিলা বাড়ির ভাড়া বাসা থেকে পালিয়ে যায় বরিশালে।
পরদিন ২০ জুন বৃহস্পতিবার সকালে স্ত্রী মনিরা বেগম নদীতে গোসল করতে যাবার সময় জহিরুলের লুঙ্গি ও জুতা সাথে নিয়ে যায় নদীর পারে। সেখানে এগুলি রেখে
ডাকচিৎকার দিয়ে মানুষ জড়ো করে বলে তার চোখের সামনে তীব্র স্রোতে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে গেছে তার স্বামী। এমন সাজানো নাটকের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০ জুন বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন লঞ্চঘাট এলাকায় ।
আত্মগেপনে থাকা জহিরুল ইসলাম একজন অটো চালক । চাঁদপুর শহরের উত্তর শ্রীরামদী মাদরাসা রোড এলাকার মৃত মনসুর বেপারীর ছেলে।জহিরুল ইসলাম ছোট বেলা থেকেই চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো। এক সময় তা মা নৌ পুলিশের ম্যাচে রান্নার কাজ করার সুবাদে সকল পুলিশ সদস্য জহিরকে বিভিন্ন কাজে ডাকতো। এতেই সে ধুরন্ধর হয়ে উঠে। জড়িয়ে পরে নানাহ অপরাধে।
বিভিন্ন সমিতি ও ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক কাজের কথা বলে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা ঋণগ্রস্ত হয়। এই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে স্ত্রীর পরামর্শে আত্মগোপনে চলে গিয়ে স্ত্রী মনিরা বেগমকে দিয়ে মেঘনা নদীতে গোসলে নেমে তলিয়ে যাবার নাটক সাজায়।
মনিরা বেগম কতটা পরিকল্পনাকারী হলে তার স্বামী জীবিত থাকা স্বত্ত্বে সে মৃত্যুর সনদ তুলে নেয় ব্যাংকের লোন ও সমিতির ঋণের টাকা থেকে বাঁচার জন্য।
জহিরুলের বড় নজু বেপারীর সাথে গতকাল সোমবার ২৯ জুলাই কথা প্রসঙ্গে জানায় তার ভাই জীবিত আছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন সপ্তাহ খানেক আগে। তাদের এক নিকট আত্মিয় মোবাইল করে জানিয়েছে জহিরুল বরিশাল তার কাছে আছে। সেখানে সে কাজ কর্ম করছে। তবে তার স্ত্রী কেন এমন মৃত্যুর নাটক সাজিয়েছে সে জানেনা বলে জানায়।
আর পানিতে ডুবে নিঁখোজের খবরে চাঁদপুর নৌ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোসলেম মিয়জী সেদিন ডুবুরি দল নদীতে নামিয়ে মরদেহ উদ্ধারের অভিযান চালান।
চাঁদপুর নৌ পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান সে নিজে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বেশ ক দিন জহিরুলের মরদেহের সন্ধানে সারা নদী চষে বেরান, কিন্তু জহির আত্মগোপন গিয়ে স্ত্রী মনিরার মাধ্যম এমন নাটক সাজিয়েছে তা কে জানতো? ইতি মধ্যে ব্যাংক ও সমিতির লোকজন জহিরের সন্ধানে বাড়িতে যাতায়াত করছে বলে স্হানীয় সূত্রে জানা যায়।
https://www.songbadtoday.com/?p=90256
Post Views: ২২